আমিরই রানীর মন ভেঙেছিলেন


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১২ই সেপ্টেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার  | বিকাল ০৩:৫৯ বলিউড

ই-বার্তা।। ছোটবেলা থেকেই রানী মুখার্জি সিনেমার পাগল। তাঁর প্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় প্রথমে আছেন অমিতাভ বচ্চন, এরপর আমির খান আর শাহরুখ খান। তিনজনের সঙ্গেই পরে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে তাঁর। পর্দার বাইরেও তাঁদের সঙ্গে রানীর সম্পর্ক খুব মধুর। অথচ একসময় রানীর জন্য এই তারকাদের সামনে থেকে দেখাও ছিল বিরাট এক ব্যাপার। একবার এক সাক্ষাৎকারে রানী জানান স্কুলে থাকতে কীভাবে তিনি আমিরের অটোগ্রাফ শিকার করেছিলেন। দঙ্গল ছবির তারকা আমির নাকি ওই সময় কিশোরী রানীর মন ভেঙে দিয়েছিলেন। আমিরের মতো বিনয়ী লোক কী করে এটা পারলেন?

বাকি ঘটনা তুলে দেওয়া হলো রানীর বয়ান থেকে, ১৯৮৯ সালে আমির খান আর জুহি চাওলার লাভ লাভ লাভ ছবির শুটিং চলছিল। তখনই প্রথম আমিরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। সেই সময় এই তারকার কেয়ামত সে কেয়ামত তক ছবি মাত্র মুক্তি পেয়েছে। কম বয়সী মেয়েরা তখন আমির বলতে অজ্ঞান। চোখের সামনে তাঁকে দেখে আমি চূড়ান্ত মাত্রায় উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ি। আমার একটা অটোগ্রাফ নেওয়ার খাতা ছিল। সেটা আমিরের দিকে এগিয়ে দিলাম। কিন্তু তিনি তখন আমার সঙ্গে খুব রূঢ় আচরণ করেন। আমি স্কুল পালিয়ে তাঁর অটোগ্রাফ নিতে এলাম আর তিনি কিনা খাতাটা হাতে নিয়ে অটোগ্রাফ না দিয়েই ছেড়ে দিলেন। আর কিছু বললেনও না। আমার ধারণা, আমির তখন কোনো শটের মাঝখানে ছিলেন। কিন্তু তাঁর আচরণ আমাকে খুব ব্যথিত করেছিল।

নিয়তির কী পরিহাস! এই আমিরের বিপরীতেই রানী নয় বছর পর গুলাম ছবিতে অভিনয় করেন। এই সিনেমার জনপ্রিয় আতি কা খান্ডা লা গানের শুটিংয়ের সময় সুযোগ বুঝে আমিরকে সেই অটোগ্রাফ নেওয়ার দিনটির কথা স্মরণ করিয়ে দেন রানী। কিন্তু আমির তো সেদিনের কথা বেমালুল ভুলে গেছেন। ভোলারই কথা। কারণ, রোজ তাঁর কাছে অসংখ্য মানুষ এসে অটোগ্রাফ চায়। আর নয় বছর আগের এক ভক্তের কথা মনে রাখা তো অসম্ভব। রানী আমিরকে বলেন, তুমি সে সময় আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেছিলে। আমার মন ভীষণ খারাপ হয়েছিল। কিন্তু মিস্টার পারফেকশনিস্ট তা মানতে নারাজ। আমিরের ভাষ্য, আমি অটোগ্রাফ চাইতে আসা কোনো ভক্তের সঙ্গে কখনোই খারাপ আচরণ করি না। আর শিশুদের সঙ্গে তো রুক্ষ ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না।


রানীও কি কম যান? তিনি পরদিন ঠিকই বাড়ি থেকে তাঁর সেই অটোগ্রাফের খাতা এনে আমিরকে দেখান। সেখানে লেখা ছিল ডিয়ারেস্ট আমির (প্রিয়তম আমির)। এই লাইনটি রানীর আবদারেই লিখেছিলেন আমির। তবু রানী খুশি হননি। আশা করেছিলেন, প্রিয় নায়ক তাঁর সঙ্গে আরেকটু নমনীয় আচরণ করবেন।

গুলাম ছবির পর আমিরের সঙ্গে রানী মুখার্জি আরও কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু সেদিনের ঘটনার খোটা আজ অবধি খেতে হয় বেচারা আমিরকে।

সর্বশেষ সংবাদ

বলিউড এর আরও সংবাদ