পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে গনধর্ষণের পর পেট কেটে হত্যা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার
| দুপুর ০২:৪২
অপরাধ
ই-বার্তা ।। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় এক শিশুকে আটকে রেখে দুই দফা গণধর্ষণের পর পেট কেটে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ফেলে দেয়া হয় পরিত্যক্ত বাগানে।এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামি সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামি স্বপ্না বেগম, নুরু মোড়ল ও আল আমিন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. মুজাহিদুল ইসলামের আদালতে।
ধর্ষিতা নাওডোবাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে জাজিরা উপজেলার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ছিল।
জাজিরা থানার ওসি এনামূল হক জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই শিশু বাড়ির পাশের এক বিয়ে খেতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে কৌশলে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় চুন্নু মোড়লের দ্বিতীয় স্ত্রী স্বপ্না বেগম। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয় একটি ঘরে।
পরে রাতে স্বপ্না বেগমের সহায়তায় তার স্বামী চুন্নু মোড়ল, নুরু মোড়ল ও আল আমিন মোড়লসহ ৩-৪ জন মিলে ওই শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পাশের ফাঁকা মাঠে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে আসামিরা।
ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই শিশুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেট কেটে হত্যা করে। পরে পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত বাগানে তার লাশ ফেলে রেখে যায় হত্যাকারীরা।
বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে জাজিরা থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে স্বপ্না বেগম, নুরু মোড়ল ও আল আমিনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের কাছে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে সোমবার তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ওসি এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় স্বপ্নার স্বামী চুন্নু মোড়ল এখনও পলাতক রয়েছেন।
আগের খবর সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা