বিদেশি বায়ারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনন্ত জলিল


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার  | বিকাল ০৫:১৫ সিনেমা

ই-বার্তা।। সফল শিল্পপতি ও সমাজসেবক, হঠাৎ বদলে যাওয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা অনন্ত জলিলের ইসলামি পোশাকের প্রশংসা করলেন তার বিদেশি বায়াররা।

মঙ্গলবার তার ফ্যাক্টরিতে বিদেশি বায়ারদের সাথে একটি মিটিং এ তিনি জুব্বা-পাগড়ি পরে হাজির হন। যা দেখে অনন্তের সাথে পনের বছরের সম্পর্কের বায়ারগন হতবাক হয়ে যান। তারা তার পোশাকের প্রশংসা করেন। বদলে ফেলা জীবনের কারণ জানতে চান।
সেই মিটিং এর মুহূর্তের কিছু ছবি ও ঘটনাটি অনন্ত তার ফেইসবুক পেইজে শুভাকাঙ্ক্ষিদের সাথে শেয়ার করেন। ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলার আহবান জানান সবাইকে। নিচে অনন্ত জলিলের পোস্টটি হুবাহু তুলে ধরা হলো।
বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করবো।
ব্যবসায়িক কাজে আমাকে বিদেশি বায়ারদের সাথে অধিকাংশ সময়ই মিটিং করতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমার ফ্যাক্টরিতে বিদেশি বায়ারদের সাথে একটি মিটিং ছিলো। যথারীতি আমি মিটিং এ উপস্থিত হই। কিন্তু যেই বায়ারদের সাথে আমি দীর্ঘ পনের বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি, তারা এই প্রথম আমাকে দেখো হতভম্ব হয়ে গেলো।


কারণ একটাই, আমার পোশাক।
তারা আমার পোশাকের বেশ প্রশংসা করে বলেন, এই পোশাকেই তোমাকে বেশ ভালো লাগছে। সাথে জানতেও চেয়েছেন এই ড্রেসটা কেন পরেছি। তখন আমি বুঝিয়ে বলি, যেহেতু আমি মুসলমান আর এটা আমাদের সুন্নতি ড্রেস।
এ কথা শুনে বিদেশি বায়াররা আমাকে আবারো এপ্রোসিয়েট করেন। তারা বলে উঠেন, ওয়াও.. যদি এটা ইসলামি ড্রেস হয়ে থাকে, তাহলে কেন বাংলাদেশের সবািই এ ড্রেস পরে না? যেহেতু বাংলাদেশ ইসলামি কান্ট্রি।
তাদের এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বলি, বাংলাদেশে এ ড্রেস পরে না এমন নয়, হয়তো সবাই পরে না এটা সঠিক। কিন্তু যারা ইসলাম বিষয়ে পড়াশুনা করে, যখন নামাজ পড়তে যায় তখন ও ইসলামি ড্রেস পরেন। কেউ কেউ আবার শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে ড্রেসটি পরে থাকে।

এ বিষয় বলার পর আমার একটা আশার কথা বলি, এখন হয়তো অল্প সংখ্যক মানুষ আমার মতো এই ড্রেস পরেন, তবে একটা সময় আসবে যখন দেখবো বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের গায়েই ইসলামি পোশাক। আর এ যাত্রার শুরুটাই করবে যুব সমাজ।

সর্বশেষ সংবাদ

সিনেমা এর আরও সংবাদ