ই-বার্তা ।। সাইফুল ইসলাম, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের জেএমবি সদস্য। পড়াশুনা তেমন নেই বললেই চলে। বন্দর উপজেলার বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। গ্রেফতার হন ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার বায়না বাইপাস সড়কে র‍্যাবের হাতে। সাথে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, ও গুলি।

২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে তাকে নিয়ে র‍্যাব নারায়ণগঞ্জের ফরাজীকান্দা একালার তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালায়। পাওয়া যায় ২১টি দেশি হ্যান্ডগ্রেনেড, পাওয়ার জেল এবং তিনটি জিহাদি বই।

দশ বছরের বেশি সময় যাবত কারাবন্দি সাইফুল ইসলাম। ইতোমধ্যেই টাঙ্গাইলের এইটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড এবং নারায়ণগঞ্জের পৃথক দুটি মামলায় ১৫ ও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

সোমবার গাজীপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করে হয় সাইফুল ইসলামকে। তখনই জানা যায়, সাইফুল নিজেই নিজের মামলা পরিচালনা করছেন। শুধু তাই নয়, নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সোমবার আদালতে ১৩টি যুক্তিও তুলে ধরেন। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মাৎ কামরুন নাহারের আদালতে সাইফুল ইসলাম আড়াই ঘণ্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমীন আহমেদ জানান, বন্দর থানায় র‍্যাবের দায়ের করা একটি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় জেএমবি সদস্য সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে আরও শুনানির জন্য ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

এদিকে সাইফুল ইসলাম জানান, “অনেক কিছুই কারাগারে দেখেছি। বর্তমান সরকার কারাবন্দিদের জন্য আইনি সহযোগিতা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কারাগারে বসে চাইলেই সহজে মামলার নথিপত্র হাতে পাই। আইনকানুন না বুঝলে কারাগারের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তাই কারাগারের সহযোগিতায় এখন নিজের মামলা নিজেই পরিচালনা করছি”।