টাইটানিক তৈরীর অজানা ঘটনা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৫ই অক্টোবর ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার
| বিকাল ০৪:৫৮
সিনেমা
ই-বার্তা।। পৃথিবীতে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যারা রোজ আর জ্যাকের ভালোবাসার গল্পে বোনা টাইটানিকের নাম শোনেনি বা দেখেনি। ২০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই ছবিটি বিলিয়ন ডলার আর নানারকম নামী-দামী পুরস্কার নিজের ঝুড়িতে ভরছে, যার পাওনার তালিকা এখনো দিন দিন লম্বা হচ্ছে। এই সিনেমাটি আজো তেমনি জনপ্রিয় আছে, যতটা রিলিজের পর ছিলো। টাইটানিক নির্মানের পেছনে অনেক পরিশ্রমের পাশাপাশি ছিল বেশ কিছু মজার ঘটনা। ই-বার্তার দর্শকদের জন্য তুলে ধরা হোলো সেসব ঘটনা,
১। প্রথম দিকে রোজের ভূমিকায় কেটকে নিতে একদমই রাজী ছিলেন না জেমস ক্যামেরুন।
২। সিনেমার মতোন সত্যিকারের টাইটানি জাহাজটিতেও জে. ডসন নামের এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়। যে নামের ভূমিকায় অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
৩। রোজ আর জ্যাকের পেন্সিল স্কেচের নগ্ন হওয়ার দৃশ্যটি দিয়েই প্রথম কাজ শুরু করে কেট আর লিওনার্দো।
৪। কার্ল ছিল সিনেমাটিতে রোজের বাগদত্তা। কিন্তু রোজ মনেপ্রাণে ভালোবাসত জ্যাককে আর ঘৃণা করত কার্লকে। আর তাই কার্লের প্রতি রোজের মনোভাব আরো ভালো করে বোঝানোর জন্যে ছবিটিতে একটি দৃশ্য রাখার অনুরোধ করেন কেট। আর সেটা ছিল কার্লের মুখে থুতু ছিটানো। আর এই দৃশ্যটি ঠিকঠাকভাবে নিতে ২৭ বার রোজের ভূমিকায় অভিনয় করা কেট থুতু ছিটিয়েছেন কার্লের মুখে।
৫। সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখা যায় রোজকে রুথ জামার পেছন দিকটা বেশ শক্ত করে আটকে দিচ্ছে আর এর মাধ্যমে রোজের বন্দীত্বকে নীরবভাবে বোঝাচ্ছে। যদিও প্রথমে এই ব্যাপারটা স্ক্রিপ্টে ছিল না এবং পুরোপুরি ভিন্ন একটা দৃশ্য ছিল ওটা। পরে জেমস ক্যামেরুন আর কেটের অনুরোধে নতুন করে দৃশ্যটি সাজানো হয়।
৬। সিনেমাটিতে জ্যাককে দেখা যায় একজন চিত্রকর হিসেবে। অন্যান্য ছবির পাশাপাশি সে আঁকে রোজের সেই বিখ্যাত ছবিটিও। তবে পেন্সিলে আঁকা সেই ছবিগুলো ঠিক কে এঁকেছিল আন্দাজ করতে পারেন? আর কেউ নন বরং স্বয়ং জেমস ক্যামেরুন। আর কেবল তাই নয়, কেটের নগ্ন পেন্সিল স্কেচটিও এই চিত্রকরেরই করা।
৭। গোধুলীবেলার আলোর ভেতরে জ্যাক আর রোজের খাওয়া সেই বিখ্যাত চুমু আদতে গোধুলীতে ছিল না। এর পুরোটাই ছিল কম্পিউটারের কারসাজি।
৮। গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট, বয়স্ক রোজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যিনি, মূলত ১৯৩৯ সালেই আভিনয় থেকে অবসর নেন এবং চিত্রকর হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে অনেক অনুরোধের পর তিনি শেষ অব্দি এত বছর পর এসে টাইটানিক ছবিটিতে চুক্তিবদ্ধ হন।
৯। সিনেমায় শেষদিকে দেখা যায় রোজ আর জ্যাক আবার মিলিত হয়েছে। আর একটা সময় দেখা যায় ঘড়িতে। এমনিতে খুব সামান্য ব্যাপার হলেও ঘড়ির সময়টা খুব একটা সামান্য নয়। কারণ সময়টি ছিল ঠিক রাত ২টা ২০ মিনিট। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সময়।
১০। ছবিটিতে পানিতে পড়া মানুষদের কাঁপতে থাকা দৃশ্যগুলো আসলে নেওয়া হয়েছিল মেক্সিকোর ৮০ ডিগ্রী উত্তাপের ভেতরে।
আগের খবর শাকিবের নতুন পাঁচ ছবি