মহাসড়কের পাশে ময়লার স্তুপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৮ই অক্টোবর ২০১৭, বুধবার  | দুপুর ১২:৪০ অপরাধ

ই-বার্তা।। শরিফ রুবেল।। আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার দুপাশে ময়লা আর্বজনা ফেলে বিনষ্ট করা হচ্ছে পরিবেশ। আব্দুলাপুর, বেড়িবাঁধ যাওয়ার পথে ফেলে রাখা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকাবাসী স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মাঝে মাঝে নোংরা আবর্জনা পোড়ানোর কারণে আশেপাশের বসবাসকারী মানুষ এবং এই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীরা দূষিত পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছেন।

এই রাস্তায় চলাচলকারী দিন মজুর রশিদ আলী বলেন, আমরা এলাকাবাসী এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়ার পথে একাধারে ধোয়ার পাশাপাশি দুর্গন্ধের মুখোমুখি হয়ে সমস্যায় পড়ি। তাই এর একটা সুব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের আবদার রইলো আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে।

আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দোকানদার মোঃ আমজাদ বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে এয়ারপোর্ট আব্দুল্লাহপুর ও বেড়িবাঁধ মিরপুরের অঞ্চলের প্রায় হাজারো মানুষজন এই রাস্তায় চলাচল করে, পাশাপাশি ড্যাফোডিল ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিস্ঠানের ছাত্রছাত্রীদেরকে যাতায়াত করতে হয় এই পথ ধরে। ফলে প্রতিনিয়ত ময়লা আর্বজনার মুখোমুখি হওয়ায় তাদের বিরাট সমস্যা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যখন বাতাস আসে তখন চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরে আমাদের সমস্যা হয়। সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় এ পথ দিয়ে যানবাহনে যাতায়াতকারি যাত্রীদের।

এলাকাবাসীর

দাবি যদি এই রাস্তার পাশ থেকে কিছুটা দূরে ময়লা আবর্জনা রাখা হতো তাহলেও কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতো। কিন্তু এই ব্যস্ততম রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় জনসাধারণ ও ছাত্রছাত্রীদের আসা যাওয়ার পথে এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা সত্যিই আহম্মকের কাজ ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণের দাবি আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও হাট ইজারাদার যেন বর্ণিত স্থান থেকে অন্যত্রে সরিয়ে দূরে ময়লা আবর্জনা ফেলে। না হয় জনদুর্ভোগ বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষকেই এর দায় দায়িত্ব নিতে হবে।

পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘পরিবর্ত চাই’র মিরপুর ও আশুলিয়া চ্যাপ্টার এর সদস্য দ্বীন ইসলাম জানান, এই স্থানটিতে পুরো বাজারের হোটেল,রেস্তোরাঁর বর্জ্য এনে এখানে ফেলার কারণে এই বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ হয়। এই সড়কের বিকল্প সড়ক না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বাজার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রতি বছর ইজারাদারকে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় তাই এই সমস্যাটি ইজারাদারকে সাথে নিয়েই সমাধান করা হবে এবং অতি শিঘ্রই এই সমস্যা সমাধানে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধ এর আরও সংবাদ