চট্রগ্রামের সড়ক জুড়ে স্থাপন করা হবে সিসি ক্যামরা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৫ই নভেম্বর ২০১৭, রবিবার
| বিকাল ০৩:০৫
চট্টগ্রাম
ই-বার্তা ।। ফারুক অাস্তানা : ঢাকা - চট্রগ্রাম মহাসড়কের ধুমঘাট থেকে সিটিগেইট পর্যন্ত পশ্চিম পটিয়া থেকে লোহাগড়ার চুনতি চট্রগ্রাম শহর থেক কক্সবাজার এবং চট্রগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত মহাসড়ক ও অাঞ্চলিক সড়কের দেড়শ কিলোমিটার জুড়ে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, চট্রগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যলয়
মহাসড়ক ও অাঞ্চলিক সড়ক ঝুড়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ ও পুলিশের চাঁদাবাজি মত অপরাধ জেলা ও মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নজরের বাইরে থেকে যাচ্ছে। থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অার স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যোগসাজশে
সড়ক কেন্দ্রীক বেঅাইনি কর্মকান্ড বাড়ছে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কারণে মহাসড়ক ও অাঞ্চলিক সড়ক গুলোতে যানজট ও অগ্নি সংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দেশের গুরুপ্তপূর্ণ ঢাকা- চট্রগ্রাম মহামড়কে যান চলাচলে বেঘাত ঘটছে এবং মহসড়কে ডাকাতি ঘটনা নিয়মিত ঘটছে । ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা প্রসঙ্গে, চট্রগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে অালম মিনা বলেন, অতীতে মহাসড়কে রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে নাশকতা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধরণের অপতৎপরতা চলতে পারে। মূলত নাশকতা এড়াতেই ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ কার্যলয়। তিনি অারও বলেন, পুলিশের কিছু সদস্যের অাচরণে পুরো বাহিনীর সুনামক্ষুন্ন করে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে । এমন পরিস্থিতি রোধ করতেই ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা। নব্বইটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা গুরুপ্তপূর্ণ জোন গুলোতে স্থাপন করা হবে। এতে ঢাকা - চট্রগ্রাম মহাসড়কের ধুমঘাট থেকে সিটিগেইট পর্যন্ত ও চট্রগ্রাম - কক্সবাজার, চট্রগ্রাম- খাগড়াছড়ি , পশ্চিম পটিয়া থেকে লোহাগড়ার চুনতি পর্যন্ত অঞ্চলিক ও মহাসড়ক মিলে মোট দেড়শ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরার অাওতাধীন করা হবে। এতে প্রায় দুইকোটি টাকা ব্যয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই টাকা জেলা পুলিশের দাতা সদস্যদের কাছ থেকে সহয়তা নেয়া হবে। ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা গুলো সরাসরি জেলা পুলিশ সুপার কা্র্যলয় থেকে মনিটরিং করা হবে। এর অাগে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়নও করেছিল । ভুল জায়গায় ক্যামরা স্থাপন ও সঠিক মনিটরিং এর অভাবে তিন বছরের মাথায় ক্লোজ সার্কিট প্যাজেক্ট মুখথুবড়ে পড়ে। জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগ স্বাগত জানিয়েছে, চট্রগ্রামের আঞ্চলিক সচেতন মহল।
পরবর্তী খবর সরকারী ও বিদেশি সহায়তায় ত্রাণের কোন সংকট নেই