জমির ন্যায্য ক্ষতিপুরণ দাবির মানববন্ধনে সন্ত্রাসী হামলা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৭ই নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
| সকাল ১১:২৫
চট্টগ্রাম
ই-বার্তা।।ফারুক আস্তানা ।। চট্টগ্রাম মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে অধিগ্রহণ করা কৃষি জমির ন্যায্য ক্ষতিপুরনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় কৃষকরা। এসময় কৃষকরা অভিযোগ করে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী কৃষকদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের ব্যানার, পেষ্টুন কেড়ে নেয়।
বৃহস্পতিবার (১৬নভেম্বর) উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের পশ্চিম ইছাখালী মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সড়কে ওই ঘটন্ ঘটে।
অর্থনৈতি অঞ্চল এলাকার মৎস প্রকল্প ও কৃষি জমির মালিক মো. জয়নাল আবেদীন সেলিম জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল এলাকায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার একর ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অধিগ্রহন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অধিগ্রহন সংক্রান্ত চট্টগ্রাম জেলা ইতিমধ্যে অধিগ্রহন সংক্রান্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত চিঠি জমির মালিকদের কাছে এসেছে।
ওই চিঠিতে ১৯৮২ সনের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহন ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ (১৯৮২ সনের ২নং অধ্যাদেশ) এর ৩ ধারায় সিদ্ধান্ত অনুসারে অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই আইনে জমি অধিগ্রহন করলে কৃষকরা মৌজা দরের দেড়গুণ ক্ষতিপুরন পাবে। এতে স্থানীয় জমির মালিকরা অনেক লোকসানে পড়বে বলে দাবি করেন তিনি।
বামনসুন্দর পল্লী উন্নয়ন ও কৃষক সমবায় সমিতির লিমিটেডের সভাপতি মুজিবুল হক জানান, ‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রত সময়ে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পক্ষে রয়েছি। সরকার ঘোষণা দিয়েছিল কৃষি জমি রক্ষা করে উন্নয়ন কাজ করা হবে। কিন্তু এখন মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য স্থানীয় কৃষকদের সাথে কোন আলোচনা না করে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে ক্ষতিপুরণ দেয়া হচ্ছে মাত্র মৌজা দরের দেড়গুণ করে। কৃষকদের দাবি হচ্ছে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জমি অধগ্রহন করলে অনন্ত সংসদে পাস হওয়া ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল বিল ২০১৭’ অনুসারে তাদের ক্ষতিপুরন দেয়া প্রয়োজন। এতে কৃষকদের কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে আসবে।
মানববন্ধনে আসা সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ নুরুল আমিন ডিপটি, আবুকালাম বলেন, প্রায় ২০ একরের উপর আমাদের খামার বাড়ি। ওই খামারের আয়ে আমাদের জীবন জীবিকা চলে। ইছাখালী-সাহেরখালী চরে হাজার হাজার একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। সেগুলোতে কাজ শেষ না করেই মালিকানা জমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে। এখানে জমির মূল্যেও বেড়েছে মৌজা দরের কয়েকগুন। কিন্তু জমি অধিগ্রহনের সময় ন্যায্য ক্ষতিপুরন না পেলে আমাদেরকে পথে বসে যেতে হবে। তারা এবিষয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কৃষকদের দাবি সম্পর্কে মিরসরাই উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কায়সার খসরু বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ ক্ষতিপুরণের কোন নির্দেশ সংক্রান্ত কোন চিঠি আমরা এখন পাইনি। সম্প্রতি সময়ে সংসদে এধরণের একটি বিল পাস হলেও এখনও গেজেট হয়ে আমাদের কাছে আসেনি’।
আগের খবর ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন
পরবর্তী খবর কক্সবাজার পৌঁছেছেন তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী