শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৭ই নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
| বিকাল ০৩:১৩
সংগীত
ই-বার্তা।। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতশিল্পী, উপমহাদেশের সংগীতাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র রুনা লায়লার ৬৫তম জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা।
পাঁচ দশকের দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা।
তিনি চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানী চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দী, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, ফার্সি, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনীয়, ফরাসি, ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন।
১৯৫২ সালের এই দিনে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী।
রুনা লায়লার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।
এবাবের জন্মদিন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন চ্যানেল আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান। আজ সকালে থাকছে চ্যানেল আইতে গানে গানে সকাল শুরু অনুষ্ঠান। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে শুরু হতে যাওয়া সরাসরি প্রচার হওয়া এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ক্ষুদে গানরাজ শিল্পীরা। এতে রুনা লায়লার গাওয়া গানগুলো গাইবেন তারা। এছাড়া সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিটিভির সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে গাইবেন দিনাত জাহান মুন্নী।
এদিকে রুনা লায়লা জানিয়েছেন, জন্মদিন উপলক্ষে বাইরের কোনো অনুষ্ঠান কিংবা আনুষ্ঠানিকতায় তিনি অংশ নিচ্ছেন না। তবে নিজ বাসায় পরিবার ও কাছের বন্ধুদের নিয়ে জন্মোৎসবের আয়োজন হবে এদিন সন্ধ্যায়।
১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে জীবন সাথী ছবিতে গান গাওয়ার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। গানের কথা ছিল ও জীবন সাথী তুমি আমার। এ গানে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবিতে তিনি প্লেব্যাক করেছেন।
সঙ্গীতে আকাশছোঁয়া সাফল্য অর্জন করা শিল্পী রুনা লায়লা নাচেও বেশ পারদর্শী। চার বছর বুলবুল একাডেমি করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। পেয়েছেন নানা পুরস্কার।
এসবের মধ্যে রয়েছে দেশ থেকে চারবার জাতীয় চলিচ্চত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী।
আগের খবর আদালতে কাঁদলেন মিলা
পরবর্তী খবর লাইফ সাপোর্টে সঙ্গীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী