মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে পোপের আকস্মিক বৈঠক
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৮শে নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার
| সকাল ১০:৪৭
এশিয়া
ই-বার্তা।। মিয়ানমার সফরের প্রথম দিনেই পোপ ফ্রান্সিনের সঙ্গে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা সিনিয়র জেনারেল মিং অনের এক আকস্মিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেনারেল মিং অনের অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্ট এবং ভ্যাটিক্যান মুখপত্র ক্রাক্স-এর ওয়েবসাইট ১৫ মিনিটের ওই বৈঠকের খবরটি নিশ্চিত করেছে। ক্রাক্স বৈঠকটিকে ‘অনির্ধারিত’ আখ্যা দিলেও এতে রোহিঙ্গা প্রশ্ন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।
সফরসূচি অনুযায়ী মিয়ানমারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি সিনিয়র জেনারেল মিং-এর সঙ্গে পোপের নির্ধারিত বৈঠকটি শেষ দিন ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে শুরুর দিনেই ইয়াঙ্গুনে আর্চ বিশপের বাসভবনে পোপের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। বিশেষ অভিযান ব্যুরোর তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন সেই বৈঠকে। শীর্ষস্থানীয় এই সামরিক কর্মকর্তাদেরই রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন এবং ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করার মূল হোতা বলে মনে করা হয়।
পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকটি ৩০ নভেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে সোমবার ইয়াঙ্গুনে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের বৈঠকের খবর জানা গেল। ভ্যাটিকানের মুখপাত্র এ নিয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কিছু জানাননি। অনুষ্ঠিত বৈঠককে অনানুষ্ঠানিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, চলমান গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারে বিভিন্ন কতৃপক্ষের দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। এদিকে সিনিয়র জেনারেল সিনিয়র জেনারেলের দাফতরিক ফেসবুক পাতায় দেওয়া এক পোস্ট অনুযায়ী, পোপকে স্বাগত জানিয়ে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারে কোনও সাম্প্রদায়িক বিভেদ নেই। সেখানকার কর্তৃপক্ষ সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। সেনাবাহিনীও কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে না।
তবে দুই পক্ষের কারও তরফ থেকেই বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি।
পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো সোমবার দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে পৌঁছান রোহিঙ্গা প্রশ্ন সঙ্গে নিয়ে। ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার সদস্য তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও সংগীতের মাধ্যমে পোপকে শুভেচ্ছা জানায়। এদিকে উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা তাকে রোহিঙ্গা প্রশ্নে কোনও কথা না বলার হুমকি দিয়েছে। এক কঠিন কূটনৈতিক পরীক্ষার জমিনে দাঁড়িয়ে আছেন ইতিহাসের আলোচিত এই ক্যাথলিক ধর্মগুরু। তিনদিনের সফর শেষে ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উদ্দেশে নেপিদো ছাড়বেন তিনি।