কলকাতায় আটক এবিটির বিস্ফোরক শাখার হোতা।
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৯শে নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
| দুপুর ১২:২৩
অপরাধ
ই-বার্তা ।। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) জঙ্গি উমর ফারুক ওরফে মহম্মদ আফতাব ওরফে মাহি চার সঙ্গী ধরা পড়তেই গোয়েন্দাদের চোখ এড়িয়ে নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরবঙ্গ ও নেপালের সীমান্তে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ল মাহি। মাহিও এবিটির বিস্ফোরক তৈরি শাখার হোতা।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, মাহির ছবি কয়েকদিন আগেই তাদের হাতে আসে। এরপর থেকে তার সন্ধান চলছিল। নেপাল সীমান্ত পার হওয়ার সময় সেই ছবি দেখেই তাকে পুলিশ শনাক্ত করে।
বুধবার সকালে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাকে তোলা হবে। তাকে জেরা করে ব্লগার খুনি পলাতক তামিম ও অন্য জঙ্গি নয়ন বিশ্বাসের খোঁজ চলছে।
এর আগে এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে চার জঙ্গি। তাদের মধ্যে সামশাদ মিয়া ও রিয়াজুল বাংলাদেশি। ওই দুই এবিটির জঙ্গি বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ।
মাহিকে জেরা করে আল কায়দার কলকাতা মডিউলের অন্য জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্লগার হত্যার সময় অন্য এবিটি জঙ্গিদের সঙ্গে ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন মাহি। বছরখানেক আগে মাহি চোরাপথে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়। মেজর জিয়ার নির্দেশে কলকাতাসহ কয়েকটি জায়গা হয়ে সে পাটনায় পৌঁছায়। একই সময় সামশাদ মিয়া ও রিয়াজুল পাটনায় যায়। সেখানেই মাহির সঙ্গে পরিচয় হয় সামশাদের।
বাংলাদেশের এবিটি নেতৃত্বের নির্দেশে সামশাদ, রিয়াজুল ও মাহি একসঙ্গে পাটনার কয়েকটি রাসায়নিকের দোকান থেকে বিস্ফোরকের নমুনা নেয়। সেখান থেকে তারা যায় রাঁচিতে। সেখানেও একই কাজ করে তারা।
মাহি কলকাতায় হোটেলের খাতায় লিখেছিল, তার গন্তব্য হলদিয়ায়। সেই সূত্র ধরে এসটিএফ হলদিয়ার বেশ কয়েকটি হোটেল ও শ্রমিক বস্তিতে তল্লাশি চালায়। তবে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ট্রেনে করে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় মাহি। সেখান থেকে বাসে করে শিলিগুড়ির কাছে পানিট্যাঙ্কি চেকপোস্ট হয়ে নেপাল সীমান্ত পার হওয়ার আগেই তার ছবি দেখে পুলিশ তাকে শনাক্ত করে ফেলে।