হোটেলে কীভাবে মদ এসেছে জানা নেই এমডি"র
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৩শে মে ২০১৭, মঙ্গলবার
| বিকাল ০৪:৩৩
রাজধানী
দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত দ্য রেইনট্রি হোটেলে কীভাবে মদ এসেছে তা জানা নেই বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুন।
মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে আদনান হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি এ দাবি করেন।
রেইনট্রি হোটেলে গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন ২৯ মার্চ সকাল ১০টা পর্যন্ত আটকে রেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে মদপান করিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা।এরপর শুল্ক গোয়েন্দারা এমডি আদনানকে তলব করে রেইনট্রি হোটেলে অবৈধভাবে মদ রাখা এবং ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চান।
অসুস্থতার কথা বলে নির্ধারিত ১৭ মে শুল্ক গোয়েন্দায় হাজির হননি আদনান। এরপর সোমবার হাইকোর্টে শুল্ক গোয়েন্দার তলবের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের আবেদন করেন তিনি। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করলেও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন।
এরপর বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হন রেইনট্রির এমডি আদনান। এ সময় তার সঙ্গে তার ফুপা আকবর হোসেন মঞ্জু ও চাচা মুজিবুল হক কামাল উপস্থিত ছিলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
ধর্ষণ মামলা আলোচিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ১৪ মে শুল্ক গোয়েন্দারা রেইনট্রি হোটেলে অভিযান চালায়।
এ সময় হোটেলের ১০১ নম্বর কক্ষে ১০ বোতল মদ পাওয়া যায়।
এছাড়া গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও কোনো অর্থ পরিশোধ না করে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষ আট লাখ ১৫ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলেও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অভিযোগ।
কিন্তু বারের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে রেইনট্রি কর্তৃপক্ষ। তারা সংবাদ সম্মেলন করে জব্দকৃত মদকে জুস দাবি করে।
এর প্রেক্ষিতে অবৈধ মদ ও ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা ব্যাখ্যা করতে রেইনট্রির এমডি আদনানকে তলব করে শুল্ক গোয়েন্দা।
আগের খবর লেখালেখির কারনেই দাম বাড়ে পণ্যের
পরবর্তী খবর এদেশে কোন মূর্তি থাকবে না: হেফাজত