সাভারের জঙ্গি আস্তানায় থেকে বিস্ফোরনের শব্দ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৭শে মে ২০১৭, শনিবার
| দুপুর ০১:১৩
অপরাধ
ই-বার্তা ।। সাভারের মধ্য গেন্ডা মহল্লার জঙ্গি আস্তানায় দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার ঘণ্টাখানেক পর বিকট বিস্ফোরণ ঘটেছে। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ছয়তলা বাড়ির দ্বিতীয়তলা থেকে একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এর আগে সকাল পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের সংসদ সদস্য এনামুর রহমান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “যে বিকট বিস্ফোরণ হল, এতে তিনি ধারণা করছেন, ভেতরে বোমা ও জঙ্গি আছে।”
সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির পাঁচতলা একটি বাড়ি শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘিরে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ওই বাড়ির সন্দেহভাজন ভাড়াটিয়ারা শুক্রবার সকালেই বাসা ছেড়ে চলে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
এ
রপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে অদূরে আরেকটি ছয়তলা বাড়িতে অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
সাভারের মধ্য গেন্ডা মহল্লার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা ছয়তলা বাড়িতে অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার সকালে ঢাকা থেকে বোম ডিজপোজাল ইউনিটের সদস্যরা সাভারের উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল পৌনে ১১টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা।
ওই বাড়িতে আর কোনো বোমা ও বিস্ফোরক আছে কিনা তার সন্ধানে অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, মধ্য গেন্ডা মহল্লার সাকিব মিয়ার ছয়তলা বাড়ির দোতলায় দুটি ফ্ল্যাটে শুক্রবার জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় ঢাকা জেলা পুলিশ। পরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের সহয়তায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দোতলার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা, বোমা তৈরির ব্যাটারি, জিহাদি বই ও ল্যাপটপ উদ্ধার করে। তবে শুক্রবার রাতে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়নি। এখন ডিজপোজাল ইউনিটের তত্ত্বাবধানে এসব বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা হবে।
পরবর্তী খবর ফখরুদ্দিন বিরিয়ানীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা