তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে বাজেটে কি আছে ?
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২রা জুন ২০১৭, শুক্রবার
| সন্ধ্যা ০৬:০৩
অন্যান্য
ই-বার্তা প্রতিবেদক।। প্রস্তাব হলো ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।বাজেট তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেন।তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এককভাবে তিন হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে। এছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পাচ্ছে ২৫২১ কোটি টাকা বলেন অর্থমন্ত্রী ।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখবে।এজন্য এই খাতে প্রয়োজনীয় শুল্ক-কর প্রণোদনা এবং নীতি সহায়তা প্রদানের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাডের স্থানীয় সংযোজন ও উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ খাতের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ আমদানিতে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক এবং ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম’ স্থাপন করা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে
তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, সারাদেশের প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ সরকারি অফিস একটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ২০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ, ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সাতটি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে চালু হয়েছে ই-ফাইলিং। বিদ্যমান সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি ৪৪ জিবিপিএস হতে বাড়িয়ে ২০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ৩১ লাখ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে বলে জানান এই প্রবীণ অর্থমন্ত্রী।
এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে একটি অধ্যায় রাখা হয়েছে। সেই অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার উন্নয়ন।এখানে বলা হয়েছে, রূপকল্প ২০২১ এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সার্বিক তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে আইটি/আইটিইএস সেবার দ্রুত প্রসার এবং তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর তারা গুরুত্ব প্রদান করছেন। সেজন্য দেশে আরও ১২টি হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।এসব হাইটেক পার্ক হবে গোপালগঞ্জ সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, চট্টগ্রাম বন্দর, কক্সবাজারের রামু, রংপুর সদর, নাটোরের সিংড়া, সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ, বরিশাল সদর এবং খুলনার কুয়েট ক্যাম্পাসে।
বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় গৃহীত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩টি বৃহৎ সরকারি সংস্থায় ই-জিপি সিস্টেম সম্প্রসারণ করা হবে। আশা করা যায়, এর ফলে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ দরপত্র ই-জিপির আওতায় আসবে বলে বলেন অর্থমন্ত্রী।
আর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশ কয়েকটি খাতে যেমন কর, শুল্ক অব্যাহতি থাকছে, তেমনরি রয়েছে রেয়াতি সুবিধা। আবার বেশকিছু পণ্যের শুল্ক কিছুটা বাড়ানোর ফলে মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়তে পারে।