এক জোছনায়
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১০ই জুন ২০১৭, শনিবার
| রাত ০৮:১৬
গদ্য
মামুন রণবীর
বাকের ভাই আপনি কি এখনও ওই গলিটায় দাঁড়িয়ে থাকেন?মিসির আলী আপনার সাথে দেখা করতে চান ।তিনি যেন কিসের রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত ।ওদিকে হিমুর সাথে দেখা করার জন্য রূপা ব্যাকুল ।হিমুটা যে কোথায় থাকে ।একদিন শুভ্র আমাকে বলেছিল হিমুকে পেলে একটি প্রশ্ন করবে,হিমু তোর কি এখনও রূপার সাথে দেখা হয়?
কৃষ্ণপক্ষের রাত ফুরালে আমাদের বাসায় এসে হাজির হয় অরু,মুহিব ।বিকেলে আড্ডা দিতে ওদের নিয়ে শুভ্রদের বাসায় যাই ।চা খেতে খেতে আমি বলি
শুভ্র তোদের ছাদে পাখিগুলো খাঁচায় বন্দী ।চল পাখিদের মুক্ত করে দেই ।শুভ্র চশমাটা চোখে লাগিয়ে প্রস্তুত হয় ।এরমধ্যে কোত্থেকে চলে আসেন বাকের ভাই ,মিসির আলী ।আমরা চা খাই আর গল্প করি ।সন্ধ্যার কিছু আগে খাঁচার পাখিদের মুক্ত করে দেই সবাই মিলে ।সিদ্ধান্ত হয় আজ রাতটা শুভ্রদের ছাদেই কাটাবো ।আজ ভরা জোছনা ।হিমু,বাকের ভাই,মিসির আলীদের সাথে জোছনা দেখার মতো অনুভূতি অন্য কোন কিছুর সাথে তুলনা হয়না ।
অবাক জোছনায় আমরা সবাই একজন জাদুকরকে অনুভব করলাম ।যিনি আমার আছে জলের মহাকাব্যে আমাদের হাসিয়েছেন,কাঁদিয়েছেন,ভাসিয়েছেন ।সে রাতে দখিন হাওয়ার বাড়িটায় গিয়ে তার দরজায় কড়া নাড়লাম ।হঠাৎ দেখি কলিং বেলের পাশের বক্সটার উপরে একটি শিরোনাম,”আমরা কেউ বাসায় নেই”।সে রাতে জোছনা দেখতে হলো হূমায়ূন আহমেদ নামের একজন জাদুকরকে ছাড়াই ।জোছনা প্রহরের ভাবনায় বয়ে গেল কিছু হাহাকার ।আমি ভাবলাম হুমায়ূন আহমেদ তো আছেনই ।একজন হিমু,মিসির আলীদের মধ্যে ।জোছনাকাব্যের শেষাংশে লিখলাম তার কথাটাই ”আজ আমি কোথাও যাবনা” ।এই জোছনার আবহ ছেড়ে ।
আগের খবর আপনালয়
পরবর্তী খবর গল্প: তোমার মেঘরঙা চুলে রাতের বসবাস