ঈদের মহীমা ও করণীয়
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৫শে জুন ২০১৭, রবিবার
| সন্ধ্যা ০৬:২১
গদ্য
ই-বার্তা ।। সারা বিশ্বের মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উতসব- ঈদুল ফিতর। এ পবিত্র দিনটি অনাবিল আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
ঈদের খুশির এক অন্যতম উপকরণ হচ্ছে ঈদের দুই রাকায়াত ওয়াজিব নামাজ। এই ঈদের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী মুহম্মদ (স) বলেন, “ঈদুল ফিতরের দিন ফেরেশতারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন, হে মুসলিম! নেক কাজের ক্ষমতাদাতা ও সওয়াবের আধিক্যদাতা আল্লাহ’র কাছে অতি শিগগির চলো। তোমাদেরকে রাতে ইবাদত করার হুকুম করা হয়েছিল, তোমরা তা করেছ, দিনে রোজা রাখার নির্দেশ করা হয়েছিল, তোমরা তা পালন করেছ। তোমরা গরিব-দুঃখিকে আহার দান করেছ, আজ তার পুরষ্কার গ্রহণ করো। অতঃপর মুসলমানরা যখন ঈদের নামাজ পড়ে তখন একজন ফেরেশতা উচ্চ স্বরে ঘোষণা করেন, তোমাদেরকে তোমাদের প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন তোমরা তোমাদের পুণ্যময় দেহ ও মন নিয়ে তোমাদের ঘরে ফিরে যাও। এ দিনটি উপহারের দিন”। (হাদিসটি তাবরানী শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে।)
ঈদ কেবল একটি খুশির বা আনন্দ উদ্যাপনের দিন নয়। ঈদ একটি ইবাদতের নাম। এ দিনেও বিশেষ কিছু ইবাদত বা আমল রয়েছে, যেগুলোতে অনেক পুণ্য লাভ করা যায়। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। রাতগুলো হলো, জিলহজের রাত, আরাফার রাত, ঈদুল আজহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত এবং মধ্য শাবানের রাত”। সুতরাং ঈদুল ফিতরের রাতে ঈবাদত করা খুবই পুণ্যময় কাজ।
প্রতিটি মুসলমানের ঈদের দিন যা যা করণীয় রয়েছে তা হোলো, ঈদের দিন ভোর বেলা ফজরের নামাজ জামায়াতে আদায় করার মাধ্যমে দিনটি শুরু করা উচিত। রমণীরা নিজ ঘরে ফজরের নামাজ আদায় করে ঈদের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করে পুরুষরা সুগন্ধি ব্যবহার করবেন এবং সবাই সাধ্য অনুযায়ী সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করবেন। ইবনে উমার (রা) থেকে বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে, ঈদুল ফিতরের দিন রাসূলুল্লাহ (স) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন এবং দুই ঈদে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া সুন্নত। ঈদের দিন শুধু নিজে না খেয়ে অন্যদের পানাহার করানোর মধ্য দিয়ে সবাই একসাথে ঈদের আনন্দে শরীক হতে হবে। ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত। ঈদগাহে এক পথে গিয়ে অন্য পথে ফিরে আসা সুন্নত। এটা এ জন্য যে, যাতে উভয় পথের লোকদের সালাম দেওয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা জানানো যায়।
ঈদগাহে যাওয়ার সময় তাকবির পাঠ করাও সুন্নত। সহীহ্ হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (স) ঈদুল ফিতরের দিনে ঘর থেকে বের হয়ে ঈদগাহে পৌঁছানো পর্যন্ত তাকবির পাঠ করতেন। তিনি ঈদের নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকবির পাঠ করতে থাকতেন। তাকবিরটি হলো- “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। ওয়ালিল্লাহিল হামদ”। এছাড়া গরিব-মিসকীন যারা রয়েছে তাদেরকে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সাদকাতুল ফিত্র প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।
আগের খবর বই রিভিউ : দ্য ফারাও’স সিক্রেট
পরবর্তী খবর নজরুলের খুশির ঈদ