কালকে খুশির ঈদ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৫শে জুন ২০১৭, রবিবার
| সন্ধ্যা ০৭:১১
অন্যান্য
ই-বার্তা ।। ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’-এই সুর এখন ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে। মনপ্রাণ ভরে উঠছে সবার ঈদের আনন্দে।
রমজানের রোজার শেষে খুশির বার্তা নিয়ে আসছে ঈদ উল ফিতর। বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সোমবার উদযাপিত হবে মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, চাঁদ দেখে রোজা পালন করবে এবং চাঁদ দেখে ঈদ উদযাপন করবে। তিনি বলেছেন, চান্দ্র মাস ২৯ দিনেও হয় আবার ৩০ দিনেও হয়। যদি আকাশে মেঘ থাকায় চাঁদ দেখা না যায় তবে ৩০ দিনের গণনা পূর্ণ করবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে ইরশাদ করেন, সংযম সাধনার পর ঈদের দিনে রোজাদারগণ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে যান।
ঈদ উল ফিতর আরবি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে উত্সব, আনন্দ, খুশি। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানের অবসানে নতুন চাঁদ দেখামাত্র ছোট-বড়, ধনী-গরীব, প্রতিটি মুসলমানের হৃদয় আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠে। এই দিনে ধনী-গরীব, বাদশা-ফকির নির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় করে, একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে। ঈদ মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব।
ঈদ উল ফিতরের দিনটি প্রতিটি মুসলমান নারী ও পুরুষের জীবনে তাৎপর্যে ও মহিমায় অনন্য।
প্রত্যেক জাতির বাৎসরিক আনন্দ-ফূর্তির দিন আছে। ঈদের দিন হচ্ছে আমাদের জন্য সেই আনন্দ-উৎসবের দিন। এইভাবেই হিজরী দ্বিতীয় বর্ষে প্রবর্তিত হ’ল ঈদ।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘আজি আরাফাত ময়দান পাতা গায়ে গায়ে,/কোলাকুলি করে বাদশাহ্ ফকিরে, ভায়ে ভায়ে’।
একমাস রোজার শেষে ঈদের আনন্দ প্রতিটি মানুষের মনে খুশির দ্যোতনা ছড়ালেও দরিদ্ররা কি সেই আনন্দ ভেলায় ভাসতে পারছে? কবির কণ্ঠে তাই ধ্বনিত হয়েছে, “জীবনে যাদের হররোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ/মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?”
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আগের খবর কেমন থাকবে ঈদের দিনের আবহাওয়া