চিকুনগুনিয়া আক্রান্তদের কেন ক্ষতি পুরন দেওয়ায় হবে না ঃ হাইকোর্ট


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৯ই জুলাই ২০১৭, রবিবার  | বিকাল ০৫:৩৫ বিশেষ প্রতিবেদন

ই-বার্তা ।। চিকুনগুনিয়ায় যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

এছাড়া উপযুক্ত ওষুধ ছিটিয়ে এডিস মশাসহ অন্যান্য মশা নিধন, সারাদেশে চিকুনগুনিয়া উপদ্রুত এলাকাসহ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনগুলো পরিষ্কারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ এবং চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরিতে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চে রোববার এই রুল জারি করে।

স্বাস্থ্যসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
হাই কোর্টে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুজাউদ্দোলা আকন্দ। রাষ্ট্রপ্রক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শুনানিতে অমিত তালুকদার বলেন, ওই আদালতের দুই কর্মকর্তা এখনো চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত।

দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুজাউদ্দোলা আকন্দ গত ৪ জুলাই হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন।

চিকুনগুনিয়া নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও রিট আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দেন তিনি।

এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে।
ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যায় কামড়ায়। একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে মশার মাধ্যমে অন্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকুনগুনিয়া হলে শরীরের গিটে গিটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাব হতে পারে।
চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নিতে পারে এডিস মশা। তাই বাড়ির ভিতরে, বাড়ির ছাদে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

চলতি বর্ষা মওসুমের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ঢাকার ২৩টি এলাকাকে এ রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের রোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইইডিসিআর।

সর্বশেষ সংবাদ

বিশেষ প্রতিবেদন এর আরও সংবাদ