ছয় মাস আটকে রেখে ভাতিজীকে ধর্ষণ


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৩রা আগস্ট ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | দুপুর ১২:৩৫ ঢাকা বিভাগ

ই-বার্তা।। ভাতিজীকে ৬ মাস ১৭দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে চাচা। এই অভিযোগে চাচার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ধর্ষিতার ভাই। টাঙ্গাইলের সখিপুরে কলেজে পড়া ভাতিজীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রেখে তাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করে ওই চাচা। আটকে সময় মেয়েটিকে প্রায়ই নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে রাখতো বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মেয়েটির ভাই বাদল মিয়া নামের ওই আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে জানিয়েছে সখীপুর থানা পুলিশ। বাদল মিয়া ওই এলাকার ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের নেতা। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের পর থেকেই বাদল মিয়া পলাতক রয়েছে।

নির্যাতিতা তরুণী ঢাকাটাইমসকে বলেন, একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলেকে বিয়ে করতে তিনি চাচা বাদল মিয়ার সাহায্য চান। আর বাদল মিয়া তাকে বিয়ে করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। গত ১১ জানুয়ারি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সকালের দিকে তিনি মেয়েটিকে তার জঙ্গলের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে যেতে বলেন। তার কথা মতো মেয়েটি ওই বাড়িতে গেলে বাদল তাকে ঘরে আটকে রেখে সন্ধ্যায় ছেলেটিকে সাথে নিয়ে আসবেন বলে চলে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে কিছু খাবার নিয়ে এসে মেয়েটিকে জানায় অর্ধেক কাজ হয়েছে, বাকি কাজ কাল হবে, তাই আজ রাত এখানেই থাকতে হবে। তার কথামতো মেয়েটি খাবার খায় কিন্তু ওই খাবার খাওয়ার পর মেয়েটির আর কিছু মনে নেই। পরের দিনও একই কথা বলে রাতে এসে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় জিনিস মিশেয়ে মেয়েটিকে অচেতন করে রাখতো। প্রথম দিকে নিয়মিত আসলেও পরে কয়েকদিন পর পর খাবার দিতো আর খাবারের সাথে নেশা জাতিয় দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করতো মেয়েটিকে।

একসময় প্রতিবেশীরা ঘরের তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে স্বজনদের জানালে তারা তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিভাগ এর আরও সংবাদ