রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বিগ্ন চাকমা সার্কেল চিফ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৭, সোমবার
| দুপুর ০১:৩২
বিশেষ প্রতিবেদন
ই-র্বাতা।। জিয়াউল হক, রাঙামাটি প্রতনিধিি ॥ রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর বার্মা সরকারের বৈষম্যমূলক, হিংসাত্মক, মানবাধিকারবিরোধী ও মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডরে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। তিনি জানান মায়ানমার বা বার্মার রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে কয়েক লক্ষ ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশুর মর্মান্তিক পরস্থিতিরি জন্য চাকমা সার্কেলের অধিবাসরিা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রোববার রাজবাড়ীর তাঁর নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় শরণার্থীদেরকে যথা শীঘ্রই সম্ভব তাঁদের নিজ গ্রামে, সম্মানজনকভাবে, নিরাপদভাবে ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের করতে সরকাকে আহবান করনে। যতদিন পর্যন্ত তা সম্ভবপর না হয়, তাঁদেরকে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে যথাযথ আশ্রয় প্রদান করা বাংলাদেশ সরকারের ও দেশের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করনে তিনি।
সার্কেল চিফ বলেন, দেশের অভ্যন্তরে রাখাইন রাজ্যের শরণার্থীদের প্রতি তাঁদের স্বদেশে অত্যাচার ও বাংলাদেশে তাঁদের আগমনকে ঘিরে নানা প্রচার, অপ-প্রচার, গুজব এবং সীমিত পর্যায়ের হিংসাত্মক ঘটনা বা উসকানির কথা আমরা জানতে পেরেছি। চট্টগ্রাম, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কর্মরত বা বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের একাধিক পাহাড়ি ব্যক্তি তাঁদের জাতিগত বা র্ধমীয় পরিচয়ের কারণে কটাক্ষ উক্তি, হুমকি এবং হিংসাত্মক ও অন্যান্যভাবে অনাকাক্সিক্ষত আচরণের শিকার হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি, এটা সংশয়ের বিষয়। এবং আমরা এ ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু বার্মার সংখ্যা-গুরু সম্প্রদায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, এবং শরণার্থীদের সিংহভাগ মুসলিম ধর্মাবলম্বী, বিষয়টাকে অহেতুকভাবে ধর্মগত সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব হিসেবে কোন কোন মহল থেকে অপব্যাখ্যা প্রদান করা হচ্ছে। এসবের অসংযত বহিঃপ্রকাশের ফলে সাম্প্রদায়িকতা বেড়ে যাচ্ছে, এবং অহেতুকভাবে দেশের বৌদ্ধদেরকে রাখাইন রাজ্যের মুসলমানদের নিপীড়নের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। তবে বাস্তবে দেখা যায় যে, মায়ানমার সরকারের হাতে, বিশেষ করে সামরিক শাসনামলে, নিপীড়নের শিকার হয়েছে শুধু অ-বৌদ্ধ সম্প্রদায় নয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সংখ্যাগুরু বামার সম্প্রদায়, এবং শ্যান, রাখাইন, মোন, ক্যারেনসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর নারী ও অগণিত ক্ষেত্রে অত্যাচার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
এ সময় বাংলাদেশ সরকারের সর্তক থাকতে হবে বলওে জানান তিনি যাতে রোহিঙ্গাদের কোন অংশের কোন রকমের সশস্ত্র ও অন্যান্য হিংসাত্মক কার্যকলাপ বাংলাদেশে বা বার্মার মাটিতে সংঘটিত না হয়।
পরবর্তী খবর রোহিঙ্গা নারীর মেয়ের নাম রাখলেন শেখ হাসিনা