পানি নয় হতাশায়ও ডুবেছে ঢাকা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
| বিকাল ০৩:১১
কলাম
ই-বার্তা ।। সাজিদ সুমন ।। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা জিপজেটের তথ্যমতে এশিয়ার সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে ঢাকা। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, ট্র্যাফিক জ্যাম, লৈঙ্গিক সমতাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর পর্যবেক্ষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
১৫০টি শহরের উপর করা বৈশ্বিক এই তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৪৪ তম, যা এশিয়াতে সর্বোচ্চ। ট্র্যাফিক জ্যাম, ঘন জনবসতি ও দুষণের কারণে ঢাকা বিশ্বের সপ্তম হতাশাগ্রস্ত শহর। এছাড়া ঢাকাবাসীর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের পয়েন্টও অনেক খারাপ।
ঢাকাবাসীর নাগরিক জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে কিছু সমস্যা। একদিকে বাসা-বাড়িতে মশা, তেলাপোকা, ছারপোকা, ইঁদুর, মাছি এবং টিকটিকি। আর বাইরে যানজট, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধ এবং জলাবদ্ধতা। আর লোডশেডিংতো আছেই। এসব আপদের কারণেই হতাশা বাড়ছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। এছাড়া বেকারত্বতো আছেই। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব শারীরিক ও মানসিক চাপ হতাশার সৃষ্টি করে৷ এই হতাশার কারণে অনেক নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা যানজট। গাড়ি বেশি, সড়ক কম। ঢাকা একটা মেগাসিটি। এখানে অনেক লোকের বসবাস। এখানে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তা নেই। ঢাকা শহর নানা দিক দিয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। এটা বড় ধরণের মানসিক চাপে রাখছে ঢাকা বাসীদের।
তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। বাসা থেকে কর্মস্থলে যেতে যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় পথে থাকতে হয়। নাগরিকরা অনেক সুযোগ-সুবিধাই পায়না৷ তারপরও গ্যাস, বিদ্যুত, পানির দাম বাড়ছে, বাড়ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। নগরবাসীর জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে। ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে৷ অল্পতেই রেগে যাচ্ছে৷ রগচটা হয়ে পড়ছে।
সামাজিক আচরণে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তরুণ বা কমবয়সিরা এই মানসিক চাপ বা হতাশা থেকে মাদকাসক্ত হতে পারে, অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
আগের খবর কবে পূরণ হবে শ্রমিকের দাবী?