প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে আমলকি
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১লা অক্টোবর ২০১৭, রবিবার
| বিকাল ০৫:১১
মেডিকেল
ই-বার্তা।। গুণের কোনো শেষ নেই আমলকিতে। ফল ও পাতা দুটিই ব্যবহার করা হয় ওষুধরূপে। প্রচুর ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এ ফলটি সারাবছর পাওয়া যায় নাগালের মধ্যেই। আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে তিন গুণ, কাগজি লেবুর চেয়ে দশ গুণ, কমলা লেবুর চেয়ে ২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ, কলার চেয়ে ৬০ গুণ এবং আপেলের চেয়ে ১২০ গুন বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। চলুন জেনে নেই আমলকির গুনাগুন সম্পর্কিত পনেরটি তথ্য।
আমলকির গুণাগুণ-
১। আমলকি বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
২। আমলকির গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকির নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
৩। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা ত্বক, চুল ও চোখ ভালো রাখার জন্য উপকারী।
৪। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৫। আমলকি হজমে সাহায্য করে ও স্টমাকে আসিডের ব্যালেন্স বজার রাখে।
৬। আমলকি লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে। ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।
৭। আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৮। কোলেস্টেরল লেভেল কম রাখা সহ হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
৯। শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
১০। লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে।
১১। জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
১২। আমলকির জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
১৩। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী। পেটের জ্বালাভাব কম রাখে।
১৪। লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়।
১৫। শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটেসও এ্যাজমার জন্য আমলকির জুস উপকারী।
পরবর্তী খবর পিরিয়ডের সময় ইনফেকশান