ই-বার্তা ।। পাবনায় এক বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁর মেয়েকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েটির খালাকেও জখম করে পালিয়ে যায় পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

স্থানীয়রা জানান, বেড়া পৌর এলাকার দাসপাড়া মহল্লার মোয়াজ্জেম শেখের মেয়ের সঙ্গে একই মহল্লার এক ব্যক্তির বিয়ে হয় সাত বছর আগে। তাঁদের তিন বছর বয়সী একটি কন্যাশিশু রয়েছে। বিয়ের পর ওই ব্যক্তি সৌদি আরব যান। স্বামী সৌদিতে যাওয়ায় ওই নারী বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এর একপর্যায়ে স্বামীর ভাতিজা সবুজ শেখের (২৪) সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিস ও পারিবারিক চাপে ওই নারী সেই সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে আসেন। কিন্তু সবুজ তা মানতে পারছিলেন না।

ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সবুজ গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে মোয়াজ্জেম শেখের বাড়িতে ঢুকে তাঁর মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে বাধা দিলে মোয়াজ্জেমকে হাঁসুয়া দিয়ে বুকে ও পিঠে কোপান সবুজ। এ সময় মেয়েটির খালা হাসনা বেগম (৪০) এগিয়ে এলে সবুজ তাঁকেও কোপান এবং মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই মোয়াজ্জেম মারা যান। আর হাসনাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মোজাফফর হোসেন, বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ওই নারীকে উদ্ধার ও সবুজকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ সবুজের বাবা আহসান শেখ এবং দুই চাচা কোমর আলী ও আমোদ আলীকে আটক করেছে।

সন্ধ্যায় নিহত মোয়াজ্জেমের ভাই জাহাঙ্গীর শেখ সবুজকে প্রধান আসামি করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে বেড়া থানায় মামলা করেন। মোয়াজ্জেমের লাশ পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। রাতে তাঁকে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।