বাংলাদেশ টেলিভিশন ও এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৮ই অক্টোবর ২০১৭, রবিবার
| বিকাল ০৫:২২
দেশের মিডিয়া
ই-বার্তা।। বাংলাদেশ টেলিভিশন সংক্ষেপে বিটিভি। ১৯৬৪ সালে প্রথম এর সম্প্রচার শুরু হয়। তখন এর নাম ছিল পাকিস্তান টেলিভিশন বা ইস্টপাকিস্তান টেলিভিশন। স্বাধীনতার পরে এর নাম বদলে রাখা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন। বাংলাদেশের সরকারী এই টেলিভিশন সংস্থাটি ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪ সালে তার প্রথম যাত্রা শুরু করে।
প্রথম দিকে পুরোপুরি ভাবে সাদাকালো প্রচারণা হয় টেলিভিশনের। ১৯৮০ সালে রঙিন পর্দার আবির্ভাব হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বিটিভির রঙিন সম্প্রচার শুরু হয়। যদিও তখন রঙিন টেলিভিশন ব্যবহারের প্রচলন অতটা ভালভাবে শুরু হয়নি। এবং রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য জিয়াউর রহমানকে নানা রকম সমালচনার সম্মুখীন হতে হয়।
১৯৯২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিটিভি সহ বাংলাদেশের সামগ্রিক টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থায় ব্যপক পরিবর্তন আসে। ৯২ সালের মাঝামাঝি কোন একসময় বিটিভিতে ঘোষনা এল, তারা অনুষ্ঠানের সময়সীমা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং পরীক্ষামূলকভাবে তিনদিন অনুষ্ঠান বিকাল পাঁচটার পরিবর্তে তিনটা থেকে শুরু হবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে বিটিভি সকালবেলা তিনঘন্টা (সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে এগারটা) মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএন এর অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। এটাই বাংলাদেশের মানুষের প্রথম কোন বিদেশি চ্যানেল দর্শন।
সিএনএন সামগ্রিকভাবে তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও সকাল এগারটায় শোবিজ বা এই জাতীয় নামে তারকাদের খবর নিয়ে আধঘন্টার একটা অনুষ্ঠান হত। এটি কিছুটা জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৪ এর কোন এক ঈদের আনন্দমেলা অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব পান হানিফ সংকেত। তিনি এই অনুষ্ঠানে প্রচারের জন্য দর্শকদের কাছে প্রাইভেট ভিডিও পাঠানোর আহবান জানান। প্রথমবারের মত বিটিভির নিজস্ব প্রযোজকদের বাইরে সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় তাদের কাজ সারা বাংলাদেশকে দেখানোর।
এর কিছুদিন পরই প্রাইভেট প্রডাকশনের ঘোষনা আসে এবং হানিফ সংকেতই প্রথম এই সুযোগ গ্রহন করে তার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে বিটিভি থেকে বের করে তিনি নিজেই নির্মান করেন। কয়েকদিন পর বিটিভির সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রযোজক আতিকুল হক চৌধুরী মাসুদ রানা সিরিজের পিশাচ দ্বীপ বইটির কাহিনী নিয়ে প্রথম প্যাকেজ নাটক হিসেবে নির্মান করেন প্রাচীর পেরিয়ে।
বাংলা চ্যানেল প্রথমবারের মত স্যাটেলাইটে যায় এটিএন এর মাধ্যমে। ৯৭-৯৮ সালের কোন একসময় তারা ভারতীয় চ্যানেল এটিএন মিউজিকের সন্ধ্যার একঘন্টার স্লট কিনে নেয় এবং তাদের নিজস্ব সিনেমার গান ইত্যাদি প্রচার শুরু করে। এর কিছুদিন পর তারা নিজেরাই এটিএন নাম দিয়ে পুর্নাঙ্গ চ্যানেল স্থাপন করে।
আগের খবর ৬৪টি জেলায় প্রতিনিধি নেবে ই-বার্তা