ছোট্ট সোনামণির অসুস্থতায় করণীয়- পর্ব ৩
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৭ই অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার
| দুপুর ০১:০৫
মেডিকেল
ই-বার্তা হেলথ।। বাচ্চার কান্না থামানোটা বাবা-মা বা বেবিসিটার এর জন্য অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। শিশুরা প্রয়োজনের কথা বলতে পারেনা। ক্ষুধা লাগলে, ঘুম আসলে, ব্যাথা পেলে বা ব্যাথা করলে, ভয় পেলে ইত্যাদি নানা কারণে শিশু কাঁদতে পারে। আজ আমরা শিশুর কান্নার কারণগুলো ও সেইসাথে কোন কারণে শিশুর কান্না কেমন হয় তা জেনে নিব।
১। ক্ষুধা
শিশুর কান্না শুনে প্রথমেই যে ধারণাটি করা হয় তা হল শিশুর ক্ষুধা লেগেছে। সদ্যজাত শিশুর কিছু লক্ষণ দেখে এটা বুঝা যায়, যেমন- অস্থির হয়, ঠোঁট কামড়ায়, তাদের গালে হাত লাগানো হলে তাদের মাথা হাতের দিকে ঘুরায় এবং নিজের হাত মুখে দেয়।
২। ডায়াপার নোংরা হলে
কিছু শিশু ডায়াপার নোংরা হলেই অস্বস্তি প্রকাশ করে ও কাঁদে। আবার কিছু শিশু এটা অনেকক্ষণ সহ্য করতে পারে।
৩। ঘুমের জন্য
শিশুরা অনেক ভাগ্যবান যে তারা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় ঘুমিয়ে যেতে পারে। যখন শিশু ক্লান্ত হয় তখন ঘুমের প্রয়োজন হয়। আর তখনই শিশু কাঁদে, মাথা নাড়ে ও অস্থির হয়।
৪। সে বাবা-মায়ের সান্নিধ্য চায়
শিশুরা আদরপ্রিয়। তারা পিতা-মাতার মুখ দেখতে চায়, তাদের কন্ঠ শুনতে চায়, তাঁদের হৃদস্পন্দন শুনতে চায় এমনকি তাদের গায়ের আলাদা গন্ধও তারা চিনতে পারা। শিশুর যখন বাবা-মায়ের সান্নিধ্য প্রয়োজন হয় তখন ও কাঁদতে পারে।
৫। পেটের সমস্যা হলে
পেটে গ্যাস হলে বা পেট ব্যাথা করলে শিশু কাঁদতে পারে। শিশু যদি পেটের কোনা সমস্যায় ভোগে তাহলে অনেকক্ষণ ধরে কান্না করতে থাকে। যদি খাওয়ার পর পরই শিশু কাঁদে তাহলে বুঝতে হবে যে পেট ব্যাথার জন্য কাঁদছে। এমন হলে চিকিৎসক দেখিয়ে সঠিক কারণ নির্ণয় করা প্রয়োজন।
৬। বেশি ঠাণ্ডা বা বেশি গরম হলে
যখন আপনি ন্যাপি চেঞ্জ করার সময় তার জামা খুলেন এবং ঠাণ্ডা ও ভেজা টিস্যু দিয়ে মুছেন তখন সে ঠাণ্ডা অনুভব করে বলে কাঁদে। শিশুরা গরমের চেয়ে ঠাণ্ডাকে অপছন্দ করে।
৭। এছাড়াও হঠাৎ জোরে কোনো শব্দ শুনলে, ব্যাথা পেলে বা ভয়ের কিছু দেখলেও শিশু কান্না করে।
আগের খবর আনারসের গুনাগুন!
পরবর্তী খবর ছোট্ট সোনামণির অসুস্থতায় করণীয়- পর্ব 8