চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৫শে অক্টোবর ২০১৭, বুধবার  | বিকাল ০৪:৪৯ ঢাকা বিভাগ

ই-বার্তা।। তনয় বিশ্বাস ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আব্দুল মান্নান এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। আটক হওয়া বাসের পাঁচজনের বিরুদ্ধে রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি এ মামলায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। একই সাথে আসামী পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন এবং চার্জশিট গ্রহণ করে আগামী ১৩ নভেম্বর মামলাটির শুনানীর দিন ধার্য করেন আদালত।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি মোঃ নাছিমুল আখতার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মধুপুর অঞ্চল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয়। আজ এ মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আব্দুল মান্নান। একই সাথে আসামী পক্ষের করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। আগামী ১৩ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠণের দিন ধার্যও করেন আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের


সহায়তা ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারি এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জর্জ কোর্টের এডভোকেট মোঃ দেলোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃত দেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই রাতেই লাশ উদ্বার করে পুলিশ ।

পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির করা হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামীরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল জেলহাজতে আছে।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিভাগ এর আরও সংবাদ