মাটির নিচে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৯ই নভেম্বর ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার
| বিকাল ০৩:২৪
অপরাধ
ই-বার্তা ।। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মাটি খুঁড়ে ৪০ হাজার ৫০০পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-১৪। একই সঙ্গে ঝর্ণা বেগম ও সুমন মিয়া নামে সম্পর্কে মা ছেলে দুজনকে আটক করা হয়েছে ইয়াবার এই চালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে।
র্যাব জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের মরিচাকান্দি গ্রামের ঝর্ণা বেগমের বাড়ির উঠান থেকে মাটি খুঁড়ে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। মরিচাকান্দি গ্রামের সবুজ মিয়া, ধন মিয়া, ডন মিয়া, সুমন মিয়া, কালা মিয়া, ফরিদ মিয়া, ঝর্ণা বেগমসহ আরও বেশ কয়েকজন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মাদক ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
এই চক্রটির মাধ্যমে পুরো উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ হয়ে আসছে। ঝর্ণা হলেন কালা মিয়ার স্ত্রী এবং সুমন মিয়ার মা। সবুজ, ধন ও ডন সহোদর।
র্যাব জানতে পারে, এই মুহূর্তে চক্রটির হাতে ইয়াবার একটি বড় চালান রয়েছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়ার পর ১৯ অক্টোবর সবুজ, ধন ও ডন মিয়ার বাড়িতে র্যাব-১৪ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে মনোয়ারা বেগম নামে ওই গ্রামের এক নারীকে আটক করা হয়। আটকের সময় ওই নারীর কাছে ২১ হাজার ৩০০টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। মনোয়ারার মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে চক্রটি ইয়াবার একটি বড় চালান ঝর্ণার মাধ্যমে বসতবাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে।
পরে র্যাব বেশ কিছু দিন গোয়েন্দা অনুসন্ধান চালিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে অভিযানে নামে। অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে প্রথমে ঝর্ণাকে আটক করে। পরে ঝর্ণার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই বসতবাড়ির উঠান খুঁড়ে ৪০ হাজার ৫০০টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেয় র্যাব। সেখানে ঝর্ণা জানায়, কিছুদিন আগে ছেলে সুমন ইয়াবার চালানটি এনে তাঁর কাছে দিয়ে লুকিয়ে রাখতে বলে। ছেলের কথামতো তিনি মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে ওই রাতে মরিচাকান্দি বাজার থেকে সুমনকে আটক করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, সুমনের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর রাতেই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজস্ব দুটি স্পিডবোটে করে সবুজ, ধন, ডন ও ফরিদ পালিয়ে যায়। র্যাবের তাড়া খেয়ে একপর্যায়ে স্পিডবোট ফেলেই তারা পালিয়ে যায়।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ বলেন, উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের এই মুহূর্তে বাজারমূল্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা হতে পারে। এ ঘটনায় বাঞ্ছারামপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আগের খবর দেড় মাসের শিশুকে হত্যা
পরবর্তী খবর গলা কেটে ইউপি সদস্যের ছেলেকে হত্যা