উবার,পাঠাও এর মত অ্যাপ নির্ভর হবে সিএনজি অটোরিকশাও
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৯শে নভেম্বর ২০১৭, রবিবার
| সন্ধ্যা ০৭:৫৪
বিশেষ প্রতিবেদন
ই-বার্তা ।। অ্যাপভিত্তিক সেবার বিরোধিতা নয়, অ্যাপেই সিএনজি অটোরিকশা চালাবেন চালকরা। এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার শিখছেন তারা। আর দেড়মাস পর সিএনজি অটোরিকশা মিলবে উবার, পাঠাও, স্যামের মতো রাইড শেয়ার অ্যাপে।
রোববার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি শাখাওয়াত হোসেন দুলাল।
অ্যাপনির্ভর ট্যাক্সি ও মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের বিরোধিতা করে ধর্মঘট ডাকায় ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন তারা।
‘এটি ভুল প্রচার হয়েছে’ দাবি করে দুলাল বলেন, অ্যাপনির্ভর সেবার বিরোধিতা করিনি। দাবি ছিলে, মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি অপসারণ ও অনুমোদন ছাড়া যেন অ্যাপনির্ভর এসব সেবা না চলে। আমরা নিজেরাও অ্যাপে চলে যাচ্ছি।
এসময় দুলাল জানান, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে মিটারে চলা সব সিএনজি অটোরিকশা অ্যাপের মাধ্যমে চলার বিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে হ্যালো সিএনজি নামে একটি অ্যাপ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। আগামী দেড়মাসের মধ্যে অ্যাপেই সেবা দিতে চালকরা ট্রেনিং নেওয়া শুরু করেছেন।
অ্যাপে চলে এলে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে দরাদরি বন্ধ হবে বলেও মনে করেন সিএনজি চালকদের সংগঠনের এ নেতা।
এদিকে সিএনজি অটোরিকশাকে একই অ্যাপে সেবা দিতে প্রস্তুত দেশের প্রথম মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং অ্যাপ স্যাম।
স্যাম ফাউন্ডার ইমতিয়াজ কাশেম বলেন, মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং ঢাকায় জনপ্রিয় হয়েছে। মানুষ অ্যাপনির্ভর সেবা থেকে উপকৃত হচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে এতদিন যে দুর্ভোগ ছিলো তার অবসান হবে যদি সেটা অ্যাপে দেওয়া যায়।
এজন্য স্যাম একই অ্যাপে মোটরসাইকেলের পাশাপাশি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে আসার ফিচার আগে থেকেই করে রেখেছে। প্রায় বছরখানেক আগে থেকে তাদের এ প্রস্তুতি ছিল। সিএনজি অটোরিকশা চালক সংগঠন অ্যাপে আসার ঘোষণা দেওয়ায় আজকালের মধ্যেই তাদের সঙ্গে বসবে- জানান ইমতিয়াজ কাসেম।
সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সংগঠনের তথ্যে দেখা যায়, ৪০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালক অ্যাপে অভ্যস্ত হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এর মাধ্যমে সরকারের চালু করা প্রায় অকাযর্কর মিটার অব্যবহৃত হয়ে পড়বে।
সিএনজিকে অ্যাপে সেবা দিতে যাওয়া হ্যালো সিএনজির একজন মুখপাত্র রিংকু জামাল বলেন, উবার, পাঠাও, স্যাম আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন। ট্রিপ পাচ্ছেন না। চালকদের এ সমস্যা সমাধানে অ্যাপের বিষয়টি চিন্তা করা হয়। পরে চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভালো সাড়া পাওয়া যায়।
প্রায় দেড়শো চালককে তারা প্রশিক্ষণও দিয়ে দিয়েছেন। হ্যালো সিএনজি অ্যাপ থেকে গ্রুপভিত্তিক বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সিএনজি চালকদের মধ্যে ক্যাম্পেইন করছেন।
সরকার নির্ধারিত যে ভাড়া আছে সেটাই থাকবে, শুধু অ্যাপে এ সেবা দেওয়া হবে বলে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি হবে।
পরবর্তী খবর পানির খনির সন্ধান পাওয়া গেছে সাভারে