জনতার প্রশ্নে আনিসুল হকের সহজ উত্তর
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৫ই মে ২০১৭, সোমবার
| দুপুর ০১:৫১
ঢাকা বিভাগ
ই-বার্তা ডেস্ক।। ফেসবুক লাইভে ঢাকা নগরবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। রবিবার রাতে জনতার সাথে তাঁর আলাপচারিতার স্থায়িত্ত ছিল প্রায় দুই ঘন্টা। তারই কিছু অংশ তুলে ধরা হল।
ফুটপাত দখল নিয়ে প্রশ্ন করলে মেয়র বলেন, “গত দশ বছর ধরে গুলশান এলাকার ১৪ ফুটের ফুটপাত আমাদের সমাজপতিরা দখল করে ৮ ফুট করে রেখেছিল। তাদের অনেক বুঝিয়েছি, এখন আর ছাড় দেয়া হবে না। রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হবে”।
যানজট নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, যানজট হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে আছে হকারদের রাস্তা দখল করে রাখা এবং রাস্তায় অতিরিক্ত রিক্সা। ৩৯ হাজার রিক্সার লাইসেন্স দেয়া হলেও এক লক্ষ রিক্সা চলছে শহর জুড়ে। ভালো কোনো বাস সার্ভিসও নেই।
দক্ষিণের মেয়র সড়কের পাশে এলইডি বাতি লাগিয়েছেন, কিন্তু উত্তরে এটি নেই কেন এমন একটি ফেসবুক কমেন্টের উত্তরে মেয়র আনিসুল বলেন, “দক্ষিণের মেয়র একটু ইয়ং স্মার্ট, তাই তাড়াতাড়ি করেছেন। আর আমি বুড়ো হয়ে গেছি তাই একটু ধীরে করছি। খুব শিগগির বাতি লাগানো হবে”।
বিলবোর্ড ও পোস্টারিংয়ের বিষয়ে মেয়র বলেন, “এখন আমরা ঢাকা কে বিলবোর্ড মুক্ত করেছি। এক লক্ষ ৭৯ হাজারের মতো পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়েছি। সরকারি দলের জোটভুক্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়েছি”।
মশার উৎপাত নিয়ে আনিসুল বলেন, “এই জায়গাটিতে আমরা লজ্জিত। স্প্রে ও গাড়ি কিনেছি, জমি পরিষ্কার করেছি। মশা মরে না বা মরলেও মেরে শেষ করতে পারি না। অনেক এলাকা ডিএনসিসির আওতার বাইরে, সেখানকার অনেক মশা আছে যেগেুলো এখানে চলে আসছে”।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মেয়র বলেন, “যেসব গাছ ড্রেনের পানিপ্রবাহ বন্ধ করছে, যেসব গাছ পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে এবং অনেক বড় রাস্তায় ৫০টি গাছ রয়েছে কিন্তু একটি দুটি গাছ রাস্তায় পড়ে যায়, সেই গাছগুলো কাটছি। গত বছর প্রায় ৩২ হাজার গাছ লাগিয়েছি। যেগুলো মরে গেছে সেগুলো লাগানোর চেষ্টা করছি”।
সড়কে যেখানে-সেখানে বর্জ্য-আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার বিষয়ে মেয়র বলেন, “বিন দিয়েছি, ময়লা বিনে না ফেলে পাশে ফেলেন। বিন চুরি করে নিয়ে যায়। এতো কিছুর খোঁজ রাখা কি মেয়রদের পক্ষে সম্ভব বলেন”?
পার্কের মধ্যে থাকা মাদকাসক্তদের বিষয়ে মেয়র বলেন, “আজকাল অনেক অন্যায় কাজে বড় লোকের মাদকাসক্ত সন্তান জড়িত। বিষয়টি আমার এখতিয়ারে পড়ে না, তারপরেও আমি পুলিশ ও অভিভাবকদের সাথে একজন সচেতন পিতা হিসেবে কথা বলব”।