অরোরা সৃষ্টির রহস্য ও ব্যাখ্যা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৬ই জুলাই ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | দুপুর ০২:১৮ বিদেশ

ই-বার্তা ডেস্ক।। সুন্দর একটি নাম অরোরা। যারা মহাকাশ বা সৌরজগৎ এর খবর রাখেন তাঁদের কাছে একটি পরিচিত নাম এটি। অরোরা হল মেরু অঞ্চলের আকাশে দৃশ্যমান অত্যন্ত মনোরম এবং দ্রুত পরিবর্তণশীল বাহারি রঙের প্রাকৃতিক আলোকছটা। অরোরার আরেক নাম মেরুজ্যোতি। অনেকেই অরোরা সৃষ্টি হওয়ার রহস্য জানেনা। এক সময় আকাশে দৃশ্যমান এই ঘটনাকে অনেকেই অতিপ্রাকৃতিক বলে বিবেচনা করতেন। কিন্তু বর্তমানে তা নিতান্তই প্রাকৃতিক ঘটনা বলে প্রমাণিত।

সাধারণ ভাবে বলতে গেলে, বায়ুমন্ডলের থার্মোস্ফিয়ার স্তরে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর থেকে আসা চার্জিত কণিকাসমূহের (প্রধা্নত ইলেক্ট্রন, কিছু ক্ষেত্রে প্রোটন) সংঘর্ষের ফলেই অরোরা তৈরী হয়। সংঘর্ষের কারণে পরমাণু বা অণুসমূহ কিছু শক্তি লাভ করে চার্জিত কণিকাসমূহের কাছ থেকে যা অভ্যন্তরীণ শক্তি হিসেবে সঞ্চিত হয়। এসব অভ্যন্তরীণ শক্তি যখন আলোকশক্তি হিসেবে বিকরিত হয়, তখনই মেরুজ্যোতি বা অরোরা দেখা যায়। এসব ইলেক্ট্রন সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বরাবর পরিভ্রমন করায় শুধুমাত্র মেরু অঞ্চলেই অরোরা দৃশ্যমান হয়।

সব থেকে মজার বিষয় হলো,


বিভিন্ন রঙের অরোরা সৃষ্টি হয় আকাশে। অরোরার রঙ নির্ভর করে কোন গ্যাসীয় পরমাণু ইলেক্ট্রন দ্বারা উদ্দীপ্ত হচ্ছে, এবং এই প্রক্রিয়ায় কত শক্তি বিনিময় হচ্ছে তার উপর।
অরোরার সবচেয়ে পরিচিত রঙ যা অধিকাংশ সময় দেখা যায় তা হলো সবুজাভ-হলুদ, তার জন্য দায়ী অক্সিজেন পরমাণু। অক্সিজেন থেকে অনেকক্ষেত্রে লাল রঙ এর অরোরাও তৈরী হয়। নাইট্রোজেন সাধারণত একটি নীল রঙের আলো দেয়।

কেউ যদি অরোরা দেখতে চান, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, অরোরা দর্শনের সবচেয়ে ভালো স্থান হলো আলাস্কা, কানাডা, এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কিছু অঞ্চল। এসব স্থানে প্রায় নিয়মিতই অরোরা চোখে পড়ে। তবে এর আলো সূর্যালোক থেকে অনেক ম্লান হওয়ায়, তা পৃথিবী থেকে দিনের বেলায় দেখা যায় না। রাতের বেলা অরোরার দৃশ্য যে কাউকে স্তব্ধ করে দিতে বাধ্য। এছাড়াও কানাডিয়ান সীমান্তের কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরসীমায় সাধারণত বছরে কয়েক বার অরোরা দেখা যায়। কিছু দুর্লভ মুহূর্তে, হয়তো দশ বছরে একবার, ফ্লোরিডাতে কিংবা সুদূর দক্ষিণ জাপানেও অরোরা দৃশ্যময়ান হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

বিদেশ এর আরও সংবাদ