ভর্তি যোদ্ধাদের জন্য শুভকামনা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৩শে জুলাই ২০১৭, রবিবার
| দুপুর ০১:১৬
দেশ
আফিফা মোহসিনা অরণি।। পরীক্ষার দুই মাস পর প্রত্যাশিত, আকাঙ্খিত এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশিত হলো আজ। ঠিক তেমনি এটি আজ অনেকের জন্যেই অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিত। কেউ কেউ আজ হয়তো তার লক্ষ্যের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেছে। আবার কারো হয়তো স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে রেসাল্ট দেখে। খুব খারাপ ফল করা কেউ আবার আত্নহত্যা করার কথা চিন্তা করবে। সাহসী কেউ কেউ করেও ফেলবে আত্মহত্যা। এইসব শিক্ষার্থীদের বোঝা উচিৎ জীবন তো সবে শুরু৷ এতো সহজে জীবনকে কেন হারাবে?
আজ অনেকেই জিপিএ ৫ পেয়েছে বা অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে। কিন্তু এই শিক্ষার্থীরা যে অনেক উপরে যাবেই সেই নিশ্চয়তা কয়জন দিতে পারে? এমন অনেক নজির আছে, এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে। আবার কেউ এইচএসসিতে এতটাই খারাপ ভাবে পাশ করেছে যে, সে ভর্তি ফরমই তুলতে পারছে না৷ গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম সে বহু কষ্টে তুলল৷ তারপর নিজ চেষ্টা এবং যোগ্যতায় সে চান্স পেয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ে৷
আজ কা্রো বন্ধু ভালো রেজাল্ট করে নামিদামি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা ভাবছে৷ আর সে হয়তো রেজাল্ট কিছুটা খারাপ হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া উপায় দেখছে না৷ লজ্জ্বায় তাঁর মাথা কাটা যাচ্ছে৷ সে ভাবছে তাঁর সব শেষ৷ কিন্তু না, এখনো কিছুই শেষ হয়ে যায়নি৷ হতে পারে একটা সহজ পথ তাঁর জন্য বন্ধ হয়ে গেছে৷ তবে বিশ্বাস রাখতে হবে এটিই একমাত্র পথ ছিল না। এমন আরো হাজারো পথ তাঁর জন্য রয়েছে৷ একটু কষ্ট করে খুঁজে নিতে হবে সেই পথগুলো৷ সাফল্য ধরা দিবেই৷
তাই রেজাল্ট খারাপ হলেই মন খারাপের কিছু নেই। পড়াশুনাময় জীবনে প্রকৃত যুদ্ধ শুরুই হয় এইচএসসির পর। ভর্তি যুদ্ধ ভয়ানক এক যুদ্ধ। এই সময়ের কিছু ভূল সিদ্ধান্ত বাঁধাগ্রস্থ করতে পারে একজন শিক্ষার্থীর সম্ভবনাগুলোকে৷ অনেকেই এই সময় নিজের কথা না ভেবে অন্যের কথার প্রভাবে ভূল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে৷ এতে তাঁদের লাভ কিছুই হয় না বরং যা সে নিজে ভালোবেসে করলে অনেক ভালো করতো সেটা থেকে বঞ্চিত হয়।
এমনকি অনেক বাবা-মা আছেন যারা সন্তানদের ওপর তাঁদের পছন্দ চাপিয়ে দেন৷ বাবা-মার মুখে “অমুকের ছেলে মেয়ে কতকিছু করছে,তুমি কেন পার না”? জাতীয় কথা শুনলে যে কোন সন্তানই ভেঙ্গে পড়বে। কারণ বাইরের মানুষের কথায় কান না দিলেও নিজের পরিবারের কথা কেউ ফেলতে পারেনা। যার ফলে খারাপ রেসান্ট করে মানসিক ভাবে ইতোমধ্যেই ভেঙ্গে পড়া একটি প্রাণ আরো বেশি পালাতে চায় পৃথিবী থেকে। মা-বাবা নিঃসন্দেহে সন্তানের ভালো চান৷ বাবা-মা হবে সন্তানের সাহস, ভয়ের কারণ নয়। শুধুমাত্র বাবা-মায়েরাই পারেন সন্তানকে বিশ্বাস করাতে যে সে আসলে কতটা সম্ভাবনাময়। এতে করে যে আজ খারাপ রেসাল্ট করলো, সে হয়তো নতুন উদ্যোমে খুব ভালো কিছু করে দেখানোর যুদ্ধ শুরু করবে।
সকল যোদ্ধার প্রতি শুভ কামনা।
পরবর্তী খবর জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশ