ফ্যাশনেবুল শার্ট
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৯শে আগস্ট ২০১৭, শনিবার
| রাত ০১:৫২
লাইফ
ই-বার্তা।। সময় এখন গরমের। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। নিত্যদিনের ব্যস্ততায় আর গরমের অস্থিরতায় পুরো শরীর ঘেমে একাকার। যত গরমই পড়ুক না কেন কাজ তো থেমে নেই! এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে গরম থেকে মুক্তি পেতে নজর দিতে হয় নিত্যদিনের পোশাকে। তাই গরমের আরাম এবং ফ্যাশনের কথা চিন্তা করে শার্ট বেছে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার পাশাপাশি থাকা যায় আর আবহাওয়া হাল্কা গরম হাল্কা শীতের আমেজ। ভারি পোশাক এই সময়ে একেবারেই বেমানান। এমন দিনে সবচাইতে জনপ্রিয় পোশাক কী? একবারেই বলে দেওয়া যায় শার্ট। তরুণদের পোশাক মানেই শার্ট। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাশাপাশি সবার স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক শার্ট। নতুন বছরে শার্টের নকশায় পেয়েছে নানা বৈচিত্র্য। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস তাদের শার্টের পসরায় যোগ করেছে প্রিন্টেড কালারফুল কালেকশন।
বয়স যাই হোক, আজকাল শার্টে ফ্যাশনেবল লুক বেশ জনপ্রিয়। এই একটি পোশাক যেটা সব সময়ই ভীষণ রকম ট্রেন্ডের মধ্যে ইন। গোল গলা, কলার দেওয়া অথবা ভি-নেক, সব রকমের শার্টই সবসময়ই বছরের সবমাসে উপস্থিত। শার্টের ক্ষেত্রে নিজেকে কি রং মানাচ্ছে তা বুঝে নেওয়া খুব জরুরী। তবে এই পোশাকটির ক্ষেত্রে সব চাইতে জরুরী ঠিকঠাক মাপের হওয়া। সঠিক সাইজের শার্টের খোঁজ না পেলে উৎসবটাই মাটি। বর্তমানে একরঙা ও চেকের শার্টের কদরই বেশি। পাশাপাশি প্রিয় ব্যক্তিত্বের ছবি ও লোগো, রিক্সা পেইন্ট, বর্ণমালা, রবীন্দ্র-নজরুল কবিতার লাইন, প্রাকৃতিক নানা মোটিফে শার্ট এখন চলছে। ছোট-বড় ভরপুর শার্টে রমরমা এখন বাজার। তার সঙ্গেই আছে বিভিন্ন কার্টুন। নানারকম পকেট দেওয়া শার্টের কদরও বেশ। শার্টে এখন নতুনত্ব হচ্ছে হাফ হাতার নিচের দিকে ও কলারে ভিন্ন কাপড়ের ব্যবহার। এসব ছাড়াও ফতুয়া গলার শার্টও এখন বেশ চলছে। যেগুলোর হাতা বা নিচের দিকে পাইপিং দেয়ায় এসেছে নতুনত্ব। কাঁধে বা হাতায় একাধিক মোটা সেলাই দেখা যাচ্ছে। নিচের দিকে সম্পূর্ণ গোল কাট। ক্যাজুয়াল লুকে শার্টের সঙ্গে জিন্স, গ্যাবার্ডিন বা সুতি প্যান্ট বেশ মানায়। জুতার পাশাপাশি স্যান্ডেলও পরতে পারেন। বেশি তাপ শোষণ করে বলে গরমের সময়টাতে কালো রং এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। বরং বসন্তের এই সময়টাতে বেছে নিতে পারেন একটু বর্ণিল তবে আরামদায়ক রং। সে ক্ষেত্রে নীল, সবুজ, ছাই, ফিরোজা, গোলাপী, লালচে ধরনের রংগুলো। শার্টের ফেব্রিকের ক্ষেত্রে ফুল কটন, মিক্সড কটন, অরবিন্দ শার্টই বর্তমান ট্রেন্ড। আর শার্ট চলছে স্টেচিং নিট কাপড়ের।
আরামের পাশাপাশি ফ্যাশনে বৈচিত্র্য আনতে শার্টের নকশা ও কাপড়ে এসেছে ভ্যারিয়েশন। শার্টের কাপড় সম্পূর্ণ সুতি হওয়া ভাল। আর কাপড় আগে ওয়াশ করা হলে তা পরে আরাম পাওয়া যায়। হালকা রঙের সুতার নিটেড শার্ট বা পলো শার্ট বেছে নেওয়া উচিত। সিনথেটিক কাপড় বা কালো রং বর্জনীয়। কারণ এ ধরনের পোশাক উত্তাপ বাড়ায়। ১১০ থেকে ১৬০ জিএসএমের নিটেড শার্ট বেছে নিতে পারেন। কারণ কাপড় একটু হালকা-পাতলা হলে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। চলাফেরায় ক্লান্তি আসে না। সুতি কাপড় হলে তা হবে যেমন আরামদায়ক তেমনি তাপ নিরোধক।
গরমে শার্ট যেমন আরামদায়ক পোশাক তেমনি বাহারি রং, ব্লক, বাটিক প্রিন্টসহ প্রতিটি শার্ট, শার্ট যেন ডিজাইনারের রং-তুলির ক্যানভাস। শার্ট, অনেক বেশি আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল। পাশাপাশি শার্টে রয়েছে যেমন ডিজাইন-বৈচিত্র্য তেমনি রঙের ছড়াছড়ি। শার্টের সঙ্গে জিনসের প্যান্ট মানানসই। শার্টের ওপরেই ফ্যাশনে নতুন মাত্রা সংযোজন করা যায়। ক্যাজুয়াল হোক আর ফরমালিন
হোক নগরীর সব শপিংমলেই পাওয়া যায় শার্ট। একটু কম দামে কিনতে চাইলে চলে যেতে পারেন আজিজ সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার কিংবা নিউমার্কেট। আর একটু ভাল মানের ফুলহাতা শার্ট কিনতে যেতে পারেন দেশী ও বিদেশী ফ্যাশন হাউসগুলোয়। শার্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রাইপ এবং এককালার এখন ট্রেন্ড। ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্টসহ প্রতিটি শার্ট যেন একেকটি রংতুলির ক্যানভাস। গরমে স্টেচিং নিট কাপড়ের শার্টই আরামদায়ক। শার্টের ক্ষেত্রে সুতি, লিলেন, অরবিন্দ কাপড় পরতে পারেন। শার্টের দাম নির্ভর করে ফেব্রিক, ডিজাইন ও ব্র্যান্ডের ওপর। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে ক্যাজুয়াল শার্ট ৪০০ থেকে ১০০০ টাকা, ডেনিম শার্ট ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, এছাড়া নিউমার্কেট থেকে গোল গলা শার্ট ২০০-৩০০ টাকায় কিনতে পারেন।
।
আগের খবর ড্রেস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট
পরবর্তী খবর স্টাইলে জিন্স পরুন আর থাকুন বিন্দাস