খাবার গ্রহনে সতর্ক থাকুন
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৬শে আগস্ট ২০১৭, শনিবার
| দুপুর ০১:৩৭
মেডিকেল
ই-বার্তা।। কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এই ঈদে খাওয়া-দাওয়ার দিকেই ঝোক বেশি থাকে। সবার বাসায় নানান মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়। দুই-এক দিন বেশি খেতে যদিও খুব বাধা নেই, তবুও খাওয়া উচিত কিছুটা ভেবেচিন্তে। নিজের বাসায় তো বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের বাসায় ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা দিনই টুকিটাকি খাওয়া হয় আমাদের। এ সময় একটু নজর দেওয়া দরকার আমরা কী খাচ্ছি, কতটুকু খাচ্ছি।
অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। এই ঈদে বেশি মাংস খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে, টয়লেটে সমস্যা হয়। যদিও সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট খাবার খেতে কোনো মানা নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরি।
ঈদের দিন তৈলাক্ত খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি ও আমিষজাতীয় খাবার, যেমন- মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা ইত্যাদি খাওয়া হয়। চটপটি, দইবড়া কিংবা বোরহানির মতো টক খাবারও। এসব খাবার পরিমাণ বুঝে খাবেন। পারতপক্ষে সকালের দিকে কম খাবেন।
পর্যাপ্ত পানি পান না করায় অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন। তা না হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আমিষ জাতীয় খাবার হজম করতে প্রচুর পানি প্রয়োজন হয়। তাই এই ঈদে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, শরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি করে খাবেন।
পেটে গ্যাস হলে গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে। দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন না। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি খাবেন না, এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর পানি পান করুন। খাবারের মাঝে বোরহানি খেতে পারেন।
মাংসের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খাওয়া যেতে পারে। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে।
মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা গোশতের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে, কোমল পানীয় ও মিষ্টি একেবারে কমিয়ে খেলে ঈদের সময় ভালো থাকতে পারবেন। সেই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত চর্বি ইত্যাদি না থাকলেও মধ্যবয়সে ঈদের খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। বেশি খেলে তাঁদের পেট ভরা ভাব বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগীকে অবশ্যই মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা বরং টক খাবারের মাধ্যমে রসনা পূরণ করতে পারেন। নেহাত মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির বিকল্প দিয়ে তৈরি করে নেবেন। পোলাও, বিরিয়ানি কম খাবেন, ভাত খাওয়াই ভালো। গরু বা খাসির মাংস খাওয়া যাবে, পরিমাণটা অতিরিক্ত যাতে না হয় এবং তেল বা চর্বি যেন কম থাকে।
আগের খবর প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে করণীয়
পরবর্তী খবর মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা কখনোই স্বাভাবিক নয়