মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা কখনোই স্বাভাবিক নয়
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৭শে আগস্ট ২০১৭, রবিবার
| দুপুর ০১:১০
মেডিকেল
ই-বার্তা।। অনিয়মিত ঋতুচক্র বা মাসিক এর কারণে তীব্র ব্যথাসহ অনেক রকম সমস্যা হয় মেয়েদের। ইদানিং প্রকৃতির বৈরীতায় যেন আরো বেড়ে গেছে সমস্যাগুলো। যার প্রভাব পড়ে মনের উপর। ফলে মন খারাপ থাকে, বিষণ্যতা ঘিরে ধরে আর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
অনেকেই এই সমস্যায় পড়লে ব্যথানাশক অষুধ খায় আবার অনেকেই এই তীব্র ব্যথা বা অনিয়মকে স্বাভাবিক মনে করে কোনই ব্যবস্থা নেয় না। কিন্তু একথা জেনে রাখা জরুরী যে তীব্র ব্যথা ও মাসিকের অনিয়ম কে কখনই স্বাভাবিক ভাবে নেয়া উচিৎ না। কারণ এই সমস্যা প্রতিবার তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে এক সময় একটি মেয়ে মা হওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারে। উপযুক্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তবে মেয়েদের এই সমস্যায় আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের কথা বারবার উঠে আসে। কারণ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা এই সমস্যাকে পুরোপুরি দূর করতে না পারলেও পিরিয়ডের ব্যথা ও অস্বস্তির প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং তা কোনরকম শারিরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
চলুন জেনে নেই মাসিক সংক্রান্ত বিভিন্ন অসুবিধা, কারণ ও প্রতিকার।
১। ডিম্বাশয়ের পলিসিস্টিক রোগের জন্য।
“পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ” এক ধরনের শারীরিক অবস্থা যা প্রতি ১০% মহিলার মধ্যে দেখা যায়। নারীদের একটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এটি হয়। যার পরিণতিতে শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং এর নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শরীরে দেখা যায়। ফলে নারীদের ওজন বৃদ্ধি, পেলভিসে ব্যথা, ব্রণ, হতাশা এবং রজঃচক্রের অনিয়ম দেখা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত নারীদের গর্ভধারণ বিষয়ক নানা রকমের জটিলতাও দেখা দেয়।
তবে সঠিক চিকিৎসা, ডায়েট এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
২। অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ।
অনেকেরই টানা ছয় থেকে সাত দিন অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ বা ‘ম্যানোরাজিয়া’ থাকায় দুর্বলতাসহ নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। এই রোগের জন্য নিরাঞ্জন ফল নামক একটি চায়না ফল বেশ কার্যকর। নিরাঞ্জন ফল এক থেকে দেড় ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা ফুলে লেবুর আকৃতি ধারণ করে। এরপর তা ভালোভাবে চিপে নিয়ে এর ভিতরের অংশ সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করলে এটা রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩। লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাব।
সাদাস্রাব বেশি হয়ে থাকে রজঃচক্র বা মাসিকের আগে আগে। এটা যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। তবে এর অতিরিক্ত ক্ষরণ মোটেও স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। অতিরিক্ত প্রবাহ, রংয়ের পরিবর্তন ও ঘনত্বের পুরুত্ব এর সংক্রমণ নির্দেশ করে। প্রতিদিন দুএকটি কলা খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা কমিয়ে আনা যায়।
তবে যে কারও শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আগের খবর খাবার গ্রহনে সতর্ক থাকুন