ই-বার্তা ।। প্রচণ্ড গরম আর রোদ, সেই সঙ্গে বাইরের ধুলাবালি তো আছেই! এর মাঝে কারই বা মাথা ঠা-া থাকে! তীব্র গরমের কারণে মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে আর কোথাও কিছু ভাললাগে না, এমন একটি সময়! আবহাওয়ার পরিবর্তনে গরম তো পড়বেই, কিন্তু গরমের ভয়ে ঘরের কোণে লুকিয়ে থাকাটাও মানায় না। আর ঘরে লুকিয়ে থেকেই বা কী হবে, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে লোডশেডিং তো রয়েছেই! এই গরমে মেজাজ খিটখিটে হবে, কিছুই ভাললাগবে না- সবই ঠিক আছে। তাই বলে নিজেকে অসুস্থ হতে দেবেন না। একটু অসচেতন হলেই অসুখ এসে বাসা বাঁধবে আপনার শরীরে।

ক্লান্তি
গরম যতই পড়ুক, ক্লান্তিকে একদমই কাছে ঘেঁষতে দেবেন না। ক্লান্তি যদি একবার আপনাকে পেয়ে বসে তবে আর ছাড়তে চাইবে না। ক্লান্তি যাতে বাসা বাঁধতে না পারে সেজন্য নিতে হবে কিছু ব্যবস্থা। যেমন প্রচুর পানি পান করতে হবে। কাজের পাশাপাশি বিশ্রামও নিতে হবে। যে কাজগুলোতে ক্লান্তি আসে না, সেগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

পোশাক
এই গরমে পোশাকের দিকে রাখতে হবে বিশেষ নজর। আর সেজন্য সুতি কাপড়ের পোশাকই সবচেয়ে আরামদায়ক। পরতে পারেন লিলেন কিংবা শিফনের তৈরি পোশাকও। তবে এড়িয়ে চলুন কাতান, সিল্ক ধরনের ভারি কাপড়। এগুলো আপনার গরমকে আরও বাড়িয়ে দেবে। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিন হালকা রংগুলোকে। হতে পারে তা সাদা, গোলাপী, অফহোয়াইট। আর এড়িয়ে চলুন গাঢ় রং বিশেষ করে কালো।

খাবার

গরমে সবচেয়ে বেশি খেয়াল যেদিকে রাখতে হয় তা হলো খাবার। এই খাবারই একটু উল্টাপাল্টা হয়ে গেলে আর দেখতে হবে না। সোজা ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। তীব্র গরমে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতাও। তাই বেশি করে পানি পান করুন। পানির পরিমাণ বেশি এমন সব খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। ভুলেও রাস্তার পাশের শরবত খেতে যাবেন না। একটু কষ্ট করে হলেও বাড়িতেই তৈরি করে খান। দক্ষ হাতের অস্বাস্থ্যকর খাবারের থেকে আনাড়ি হাতের স্বাস্থ্যকর খাবার অনেক ভাল।

ঘুরে বেড়ানো

শখে কিংবা প্রয়োজনে বাইরে ঘুরে বেড়ান অনেকেই। বাইরে বের হলেই দেখবেন সূর্যমামা রাগী চোখে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। তাপমাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে যেন বলছে, বেটার সাহস তো কম ন! এত রোদ, তবু বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আপনি যদি সাহসী হন, তবে এই চোখ রাঙানি একদম পাত্তা দেবেন না। আপনি বরং এক কাজ করুন, বাইরে বের হওয়ার আগে ছাতা, পানির বোতল, সানগ্লাস, সানব্লক সঙ্গে নিয়ে বের হন। রোদ আর পাত্তাই পাবে না!

মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন

আপনার নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিতে হবে। মানসিক সাহসটা এক্ষেত্রে খুব জরুরী। সব কাজে একটু সাবধানী আর সচেতন হোন। দেখবেন গরম পাত্তাই পাবে না। তবে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বেশি পানি পান না করলে শরীর চড়া হয়ে যাবে।

এত কিছুর পরও যদি শরীরে বিশেষ কোন পরিবর্তন লক্ষ্য দেখা যায় তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকতে নিজের যত্ন নিজেকেই নিতে হয়।