“আহমেদ ফিরোজ”- একজন হৃদয়বান নেতা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, সোমবার
| দুপুর ০২:৫৫
বিদেশ
চিকিৎসক ও লেখক ফারহানা মোবিন।। নেতা মানে অসাধারণ কিছু। সমাজের আর দশ পাঁচটা মানুষের থেকে আলাদা কিছু। নেতা মানে যে মানুষটার নেতৃত্ব, বলিষ্ঠ কর্মতৎপরাতায় আমরা হই মুগ্ধ। যার দিক নির্দেশনা আমাদেরকে করে আলোর পথযাত্রী। এমনই একজন হৃদয়বান নেতা হলেন আহমেদ ফিরোজ।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী আহমেদ ফিরোজ। প্রবাসী হয়েও যার মন প্রাণ জুড়ে দেশের মাটি আর মানুষ। বাংলাদশেরে নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের মেধাবী, পরিশ্রমী আর দূরদর্শী এই মানুষটি ছিলেন রাজনীতির উদ্যোমী সৈনিক। আওয়ামী সরকারের নামী দামী রাজনীতিবিদ আর ব্যক্তিত্বদের সাথে তাঁর প্রাণের সখ্যতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী মুখ তিনি। ছাত্র অবস্থা থেকেই শিল্প সাহিত্য আর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়েছে তাঁর উজ্জ্বল পদচারনা।
নারায়ণগঞ্জের সরকারী তোলারাম কলেজের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তিনি বিভিন্ন ধরণের সামাজিক কাজ কর্মে সম্পৃক্ত হন। অসহায় মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। সেই তোলারাম কলেজ থেকে আজ অবধি তাঁর সেই মমতার হাত প্রশস্ত। বিদেশের মাটিতে দেশের পতাকা উত্তোলনের স্বপ্ন বুকে নিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন প্রবাসের মাটিতে। তাঁর অক্লান্ত শ্রম, মেধা আর পরিশ্রমের জন্য তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সেই ছেলেটা আজ “আয়েবা”র সভাপতি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামী দামি সংগঠনের বলিষ্ঠ নেতা তিনি। আয়েবা হলো অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন বা “এইবিএ”। এই সংগঠন ইউরোপে বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটি ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে আয়েবা অনুষ্ঠিত করে রোহিঙ্গাদের উপরে অমানবিক নির্যাতনের জন্য মানববন্ধন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মায়ানমার সরকার কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যা বন্ধের দাবীতে ও তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত নেয়ার জন্য আয়েবা, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ আঞ্চলিক সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে (আয়েবার সদর দপ্তর) অনুষ্ঠিত হয় আয়েবার সম্মেলন। এই সম্মেলনে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তিনি উপস্থাপন করেন বিপুল সংখ্যক অভিবাসীদের নানাবিধ বঞ্চনার কথা। বাংলাদেশ সরকার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে অভিবাসীদের বিষয়ে চুক্তি করতে চায়। আয়েবা এই বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউরোপের ২৫টি দেশের বাংলাদেশীদের শীর্ষ কমিউনিটির সংগঠন হোলো আয়েবা। আহমেদ ফিরোজ এই সংগঠনের যোগ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন
সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তার রাজনৈতিক জীবনের সিংহভাগ সময় তিনি কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচারের কাজে। তিনি একইসাথ,
* ইউরোপিয়ান প্রেস ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য।
* বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
* সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব।
* সদস্য সচিব, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ।
* সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
* সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগ।
* সাবেক সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ এসোসিয়েশন।
* সাবেক ছাত্র সংসদ নেতা, সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ।
ইউরোপে সিরিয়া শরণার্থীদের জন্য তিনি নানান র্কমসূচি ও খাবার সরবরাহ করছেনে। এছাড়া সংবাদ প্রতিদিন, ৭১ টিভিতে সরাসরি লাইভ নিউজ করার জন্য সাহায্য ও তাঁদের খাবার সরবরাহ করেন। সামাজিক কার্যক্রমে অবদান এবং মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব হিসেবে তিনি অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট এর পদক পান। মানুষের জন্য কাজ করাটাই আজ তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমেও তিনি প্রিয় ব্যক্তিত্ব। এই গুণী নেতা সব সময় সংগ্রাম করে চলেছেন কুসংস্কার আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যোগ্য উত্তরসূরী। তিনি পুনরায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ইউরোপের বাঙালী কমিউনিটির প্রিয় নেতা তিনি। ইউরোপের মাটিতে বাঙালীদের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রবাসীদের নানাবিধ অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেন তিনি। প্রবাসের মাটিতে থাকা সত্তেও তিনি বিভিন্ন সময়ে অসহায়, বঞ্চিত, নির্যাতিত বাংলাদেশীদের অভিভাবক হিসাবে কাজ করে চলেছেন।
তিনি একজন সফল পিতা। তাঁর দুই ছেলে অস্ট্রিয়াতে কম্পিউটার প্রকৌশলে অধ্যায়নরত। তিনি একজন সার্থক জীবনসঙ্গী, একজন সফল রাজনীতিবিদ, বলিষ্ঠ নেতা। একজন হৃদয়বান ভাই, একজন বটবৃক্ষ তিনি। একজন সফল সাংবাদিকও তিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা।
তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আরো অনেক অনেক মানুষ উপকৃত হোক, প্রবাসী বাঙালিদের জন্য তিনি যেন আজীবন মেলে ধরতে পারেন আশার প্রদীপ। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিদেশের মাটিতে বাঙালিরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, এই কামনা। তাঁর বলিষ্ঠ পদচারণায় বিদেশের মাটিতে ধন্য হোক বাংলার পতাকা।
আগের খবর এক নজরে রোহিঙ্গাদের ইতিহাস
পরবর্তী খবর পৃথিবীর সবচেয়ে সুখি মানব