ই-বার্তা।। এই গরমে কখনো কড়া রোদ আবার কখনো স্যাঁতস্যাঁতে বৃষ্টিতে ত্বকের অবস্থা হয় নাজেহাল। ত্বক পরিষ্কার করতে শুধুমাত্র ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়াই যথেষ্ট নয়। দিনে দুইবার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোওয়ার কথা হয়তো সকলেই জানেন। কিন্তু গরমে সেটাই যথেষ্ট নয়। একটা ভাল ফেস স্ক্রাব দিয়ে ত্বক পরিষ্কার না করলে ধুলো-ময়লা জমে ত্বকের কোষগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতেই ত্বকের অনেক সমস্যা বেড়ে যায়। তাছাড়া বাতাসে আর্দ্রতা বাড়লে মুখ বারবার ঘেমে ফ্যাকাসে দেখাবে। তাই মৃত কোষগুলো সরিয়ে ফেলার জন্যেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।

ত্বকের জন্য মাইল্ড ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করবেন। হয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে মুখে টোনার লাগান। স্পর্শকাতর ত্বক হলে অ্যালকোহল-ফ্রি টোনার ব্যবহার করাই ভাল। তারপর ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই লাগাবেন। অনেকে ভাবেন গরমে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু ধারণাটা ভুল। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় না রাখতে পারলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। যদি আপনার কাছে কোনও ব্যাটারি অপারেটেড ফেস ক্লিনার থাকে, তাহলে সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব না করে কোনও ফোম ফেসওয়াশ লাগিয়ে এই ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। এতেই ত্বক ভালভাবে পরিষ্কার হবে।

একটা সেরাম লাগাতে পারলে আরও ভাল। গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যার জন্যে আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনও ক্লে মাস্ক বা চারকোল মাস্ক লাগাই। কিন্তু এতে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটা কমে যায়। তাই সপ্তাহে দুইদিন হাইড্রেটিং মাস্ক লাগানো প্রয়োজন। হলুদ, দুধ আর মধু দিয়ে বাড়িতেই এই ধরনের প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। তবে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁদের দুধে সমস্যা হতে পারে। তার বদলে শসা ও অ্যালোভেরার প্যাক লাগালে উপকার পাবেন।

অনেকে ভাবেন একবার সানস্ক্রিন লাগিয়ে বাড়ি থেকে বের হলেই সারাদিন চলে যাবে। কিন্তু চড়া রোদে বের হলে দুই তিন ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন লাগানো প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে একটা সানস্ক্রিন স্প্রে সঙ্গে রাখতে পারেন। এগুলোয় মেকআপ ঘেঁটে যাবে না। মনে রাখবেন মুখের জন্য এক চা-চামচ পরিমাণে সানস্ক্রিন প্রয়োজন। আর হাত, পা, গলা, পিঠের জন্যে একটা শট গ্লাসে যতটা পরিমাণ সানস্ক্রিন ধরবে, ততটা লাগানো উচিত।

গরমে পানি বেশি খাওয়া প্রয়োজন, সেটা কোনও নতুন কথা নয়। তবে দিনে আড়াই লিটার পানি খাওয়া ছাড়াও শরীরে আরও পানীয় যাওয়া দরকার। ফলের রস খেতে পারেন। বিশেষ করে তরমুজ বা আনারসের। তাছাড়া রোজ সকালে নিজেই ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে নিন। এক লিটার পানিতে কয়েকটা শসা গোল করে কাটা টুকরো, একটা লেবুর রস আর কিছু পুদিনা পাতা ভিজিয়ে রাখুন। সারাদিনে অল্প অল্প করে খাবেন। এতে হজমক্ষমতাও বাড়বে। চাইলে দু’টুকরো তরমুজও দিতে পারেন এতে।

খুব চড়া রোদে বের হলে অনেকের ত্বক পুড়ে লালচে র্যা শ বেরিয়ে যায়। তাঁদের দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা অবধি বাইরে যাওয়া এড়াতে হবে। নেহাতই বের হতে হলে সানস্ক্রিন, গগল্স আর স্কার্ফ বা ছাতা নিতে হবে। বাড়ি ফিরে একটা পাতলা সুতির কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে সম্পূর্ণ মুখের উপর আলতো করে বুলিয়ে নিন। তারপর মুছে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখুন। খুব সমস্যা হলে ডার্মাটোলজিস্টের কাছে অবশ্যই যাবেন।