ছোট্ট সোনামণির অসুস্থতায় করণীয়- পর্ব ১


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৫ই অক্টোবর ২০১৭, রবিবার  | বিকাল ০৩:৫৮ মেডিকেল

ই-বার্তা হেলথ।। শিশুর পেটে ব্যথা হলে শিশু কান্না করে। অনেক সময় বমিও করে। মা-বাবা চিন্তায় পড়ে যান কী করলে তাঁদের শিশুর কষ্ট কমে যাবে, কান্নাকাটি একটু থামবে কিংবা কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন ইত্যাদি। কেউ কেউ বলেন, বাচ্চার পেটে বাতাস লেগেছে, দুধে বাতাস লেগেছে, যার কারণে বমি করে দিচ্ছে। কিন্তু আসল কথা হলো, বড়দের মত পেটে গ্যাস বাচ্চাদেরও হয়। বাচ্চারা বলতে পারে না যে তাদের কেমন লাগছে আর তাই আমরা বুঝতেও পারি না। ছোট শিশুর জ্বর হলে, ঠাণ্ডা লাগলে তা সহজেই বুঝতে পারি, কিন্তু গ্যাস হয়েছে বা পেটের ব্যথায় বাচ্চা কান্নাকাটি করছে, সেটা সহজেই বুঝতে পারি না।

- বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার প্রথম কারণ খাওয়ার ভুল পদ্ধতি। বদহজম হয়ে পেটে গ্যাস তৈরি হয়। যার দরুন ছোট্ট শিশুদের পেট ব্যথা করে। নবজাতক শিশুর বেলায় গ্যাস সৃষ্টি হয় বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়। কারণ বাচ্চা যখন দুধ পান করে, তখন হয়তো স্তনবৃন্তটা মুখে পুরোটা দিতে পারে না। একটু ফাঁকা থাকে, আর এতেই বাতাস ঢুকে পেটে গ্যাস হয়। নবজাতক শিশুর পেটের গ্যাস বা বাতাস কমাতে খাওয়ার পরপরই বাতাস বের করে দিতে হবে। দুধ বুকের হোক বা ফিডারে খাওয়ানো হোক, স্তনবৃন্ত ও ফিডারে নিপলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শিশুর মুখে তা ঠিকভাবে বসানো হয়। অর্থাৎ বাতাস না ঢুকতে পারে।

- আবার মায়েদের দুধ ভেঙে যাওয়া, অর্থাৎ মায়ের দুধের ভেতর ল্যাকটোসজাতীয় পদার্থ থাকে, সেটা ভেঙেও শিশুর পেটে গ্যাস তৈরি হয়। এতে পায়খানাও নরম হয়। দুধ খাওয়ানোর পর মায়ের ঘাড়ের বাঁ পাশে বা ডান পাশে নিয়ে শিশুর পিঠের ওপর থেকে নিচের দিকে হাত বুলিয়ে দিতে হবে, এতে বাতাস বের হয়ে যায়। অনেক সময় ড্রপের সাহায্যেও বাতাস বের করা যেতে পারে।

- অনেক সময় ফিডারে দুধ পান করার সময় কিছু বাতাস শিশুর পেটে প্রবেশ করে, এতেও গ্যাস হয়। ঢোক গিলার সময়ও পেটে বাতাস প্রবেশ করে, এ রকম বিভিন্ন কারণে শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে। বাচ্চার পেটে গ্যাস জমে গেলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যেন ঘন ঘন বমি না করে। বমির পরিমাণ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

- ছয় মাস বয়সের পর বুকের দুধের পাশাপাশি একটু বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। এতেও অনেক সময় পেটে গ্যাস হতে পারে। এসব শিশুর বাড়তি খাবারে বিভিন্ন প্রকার ফল বা শাকসবজি দিয়ে খিচুড়ি এবং মাছ, মাংস ও ডিম থাকে। অনেক সময় খিচুড়িতে শাকের পরিমাণ বেশি হলে গ্যাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে আবার ডালেও গ্যাস হতে পারে, এমনকি সিদ্ধ ডিমেও গ্যাস হতে পারে। তাই উচিত বাড়তি খাবার দেওয়ার সময় খাবারের দিকে নজর রাখা। যেমন, খিচুড়িতে শাক ও ডালের পরিমাণ কম দিয়ে কাঁচা কলা বা কাঁচা পেঁপের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।

- শিশুকে ফলমূল খাওয়ালে তা নরম টুকরো করে দিন বা জুস করে খাওয়ান, এতে হজমের সুবিধা হবে ও শিশুর পেটে গ্যাস তৈরির প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে।

সর্বশেষ সংবাদ

মেডিকেল এর আরও সংবাদ