হোল্ডিং ট্যাক্সে স্বেচ্ছাচারী সিটি করপোরেশন
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৩০শে অক্টোবর ২০১৭, সোমবার
| বিকাল ০৩:২৬
অন্যান্য
ই-বার্তা ।। ক্ষুব্ধ নগরবাসী বলেছেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন স্বেচ্ছাচারীতা করছেন। দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন তাদের মর্জি অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্সের বোঝা চাপাচ্ছেন নাগরিকদের কাঁধে। জমি ও ভবনের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে সবচেয়ে বেশি ২৭ শতাংশ ট্যাক্স আদায় করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। চিকিৎসা সেবায় তেমন পরিবর্তন না এলেও নগরবাসীর কাছে থেকে ৮ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য কর কেটে রাখছে করপোরেশন।
দেশের ১১ সিটি করপোরেশনের বাৎসরিক হোল্ডিং ট্যাক্সের হার একেক রকম। সবচেয়ে কম ১২ শতাংশ হারে কর আদায় করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। আর সবচেয়ে বেশি আদায় করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। অন্য কোন সিটি কর্পোরেশন স্বাস্থ্যকর আদায় না করলেও রাজশাহী শহরের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য কর বাবদ টানতে হচ্ছে বছরে ৮ শতাংশ হারে কর। তাহলে কি রাজশাহীর স্বাস্থ্য সেবার মানও অন্য শহরের তুলনায় বেশি?
কর আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে পারে করপোরেশন। এর মধ্যে ইমারত ও জমিতে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ, ময়লা নিষ্কাশনে ৭ শতাংশ, সড়কবাতিতে ৫ শতাংশ এবং স্বাস্থ্যকর ৮ শতাংশ।
ঢাকায় ময়লা নিষ্কাশন ও সড়কবাতির ওপর যথাক্রমে ২ ও ৩ শতাংশ হারে কর আদায় হলেও রাজশাহীবাসীকে দিতে হয় সর্বোচ্চ ৭ ও ৫ শতাংশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই বৈষম্য নিয়ে কয়েক দফা আন্দোলনের পর সিটি মেয়র ঘোষণা দিয়েছিলেন বিষয়টি সমাধানের। কিন্তু ফল শূন্য।
আইন অনুযায়ী, ৫ বছর পর পর হোল্ডিং ট্যাক্স মূল্যায়নের কথা থাকলেও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দীর্ঘ ২৭ বছরে এ কাজটি করেনি। ফলে কর্পোরেশন যেমন বছর বছর রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে, তেমনি নাগরিকদের ওপর হঠাত করে ভারী হয়েছে করের বোঝা।
রাজশাহীর পর সবচেয়ে বেশি ১৯ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হয় নারায়নগঞ্জবাসীকে। ১৭ শতাংশ হারে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হয় চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের। নাগরিক সেবার মান না বাড়িয়ে বিভিন্ন খাতে করের চাপ বাড়ানো অন্যায় বলে মনে করছেন নগরবাসী।