বিশ্ব সেরা ৫ প্রাণঘাতী প্রানি
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৯ই নভেম্বর ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার
| সন্ধ্যা ০৬:১০
আন্তর্জাতিক
ই-বার্তা।। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতি প্রানি বলতে কোন প্রানির কথা মাথায় আসে? ভাল্লুক, বাঘ, হায়না, নাকি অন্য কিছু? যদি বলি এগুলোর একটিও নয়। হ্যাঁ, অনেক গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সেরা পাঁচটি প্রাণঘাতী প্রানি চিহ্নিত করেছেন। গবেষণাটি করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার তত্ত্বাবধানে। তাহলে কি সেই প্রানি গুলো? এই বিষয়টি জানাতেই আমাদের আজকের এই লেখা।
মশা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে মশা বিশ্বে অন্যতম ঘাতক একটি প্রানি। মশার কামড়ে সমগ্র পৃথিবীতে গড়ে ৭ লাখ ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়। মশার কামড়ের ফলে যেসব রোগের সৃষ্টি হয়, সেই সব রোগই মুলত মৃত্যুর কারণ। শুধুমাত্র মেলেরিয়া তে সারা পৃথিবীতে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। মেলেরিয়া ছাড়াও, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া সহ অন্যান্য রোগ সৃষ্টির জন্য দ্বায়ি মশা।
সাপ
সাপের কামড়ে সারা পৃথিবীতে গড়ে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সব সাপ যে বিষধর হয় এমনটি নয়। সাপের সবগুলো প্রজাতির মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ বিষধর হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ বসবাস করে তাইপানে। এই সাপের কামড়ে আহত মানুষদের ৮০ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে।
কুকুর
কুকুর মানুষের বন্ধু। অসম্ভব রকমের প্রভু ভক্ত এই প্রানি কিনা প্রাণঘাতী? হ্যাঁ এমনটাই প্রমাণ দিয়েছেন এই গবেষক দল। প্রতিবছর কুকুরের কামড়ে গড়ে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর চার মিলিয়ন মানুষ কুকুরের কামড়ে আহত হয়। যার ৩০ শতাংশ মারা যায়।
আফ্রিকান মাছি
আমাদের সাধারণ মাছির সাথে দেখতে তেমন একটা পার্থক্য না থাকলেও কাজে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এই মাছি তার বিশাল শুঁড় দিয়ে রক্ত খায়। ঘুমের সমস্যা, মাথা ব্যাথ্যা, হাড়ে ব্যাথ্যা, লিভারে সমস্যা ইত্যাদি রোগ এই মাছির কামড়ের জন্য হয়। প্রতি বছর গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ এই মাছির কামড়ের কারণে প্রাণ হারায়।
কুমির
খুব প্রয়োজন নাহলে কুমির মানুষ শিকার করে না। তবে কুমির খুব সুযোগ সন্ধানী প্রানি। প্রতি বছর আফ্রিকাতে গড়ে একশ মানুষ কুমিরের আক্রমণে প্রাণ হারায়। আর গড়ে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় হাজারের উপরে মানুষের মৃত্যু হয় কুমিরের আক্রমণের কারণে।
আগের খবর ১০১ বছর বয়সে মা
পরবর্তী খবর ১৮৬০ সালের ছবির কন্যার হাতে মুঠোফোন