আজীবন নিষিদ্ধ ঢাকার দুই ক্লাব
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২রা মে ২০১৭, মঙ্গলবার
| বিকাল ০৫:১৭
ক্রিকেট
ই-বার্তা প্রতিবেদক: গত ১১ এপ্রিল ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের এক ম্যাচে ৪ বলে ৯২ রান তোলে অক্সিওম ক্রিকেটার্স। প্রতিপক্ষ ছিল লালমাটিয়া ক্লাব। ক্লাবটির দাবি ছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৪ বলে ৯২ রান দেন লালমাটিয়ার বোলার সুজন মাহমুদ। এ ঘটনার দুদিন আগে ফিয়ার ফাইটার্সের বোলার তাসনীম ১.১ ওভারে ৬৪ রান দেন। তাদেরও দাবি ছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এমনটি করা হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য’ এমন কাজ করেছেন দুই ক্লাবের দুই ক্রিকেটার। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বোলার সুজন ও তাসনীমকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি। পাশাপাশি দুটি ক্লাব লালমাটিয়া ও ফিয়ার ফাইটার্সকে আজীবন ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুধু খেলোয়াড় ও ক্লাবকেই শাস্তি দেয়নি কমিটি। দুই দলের অধিনায়ক, কোচ ও ম্যানেজারকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাঠে খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দুই ম্যাচের আম্পায়ারদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে ছয় মাস। শেখ সোহেলের বিশ্বাস, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এত বড় শাস্তি এর আগে কখনোই দেওয়া হয়নি এবং এ শাস্তি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেছেন, ‘সবার সাক্ষাৎকার নিয়ে বুঝতে পেরেছি, “ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য” এই কাজ করা হয়েছে। ম্যাচগুলো হেরে গেলে প্রতিপক্ষ চ্যাম্পিয়ন হবে কিংবা অন্য কোনো দলের অবনবন আটকে যাবে- এমন কোনো ব্যাপারও ছিল না। ইচ্ছাকৃতভাবে কাজগুলো করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মান ক্ষুন্ন করার জন্য এটা করা হয়েছে।’
ক্লাবগুলোকে আজীবন নিষিদ্ধ করার কারণ প্রসঙ্গে শেখ সোহেল বলেন, ‘যদি টিম ম্যানেজমেন্ট আদেশ না দেয় কোনো বোলার এ জাতীয় কাজ করার সাহস পায় না। দুই ম্যাচেই ফিক্সিংয়ের কোনো ব্যাপার ছিল না। বোলার টাকা পেয়েছে বা এ জাতীয় কিছু না। পুরো তদন্ত করে পেয়েছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমুর্তি নষ্ট করতেই এই কাজ করা হয়েছে। ক্লাবের প্ররোচনায় কাজগুলো করা হয়েছে। যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এর থেকেও বড় কোনো শাস্তি থাকলে আমি দিতাম।’
বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি দুই দলের খেলোয়াড়, অফিশিয়াল ও মাঠে ওই সময়ে উপস্থিত থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে। বিসিবির প্রতিবেদনের পাশাপাশি আকসুও দুই ম্যাচের প্রতিবেদন জমা দেয়।
আগের খবর বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে মুম্বাই শীর্ষে
পরবর্তী খবর আবারও সেই ৯৯