সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৩ই জুন ২০১৭, মঙ্গলবার
| সন্ধ্যা ০৬:১৩
স্মার্টফোন
ই-বার্তা।। দেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি।
পুরনো বকেয়া পরিশোধ না করা এবং আদালতের নির্দেশ অনুসারে চলতি পাওনা,স্টেকট্রাম ফ্রি ও লাইসেন্স ফি পরিশোধ না করার পাশাপাশি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করার অভিযোগ আনা হয়েছে অপারেটরটির বিরুদ্ধে।এসব কারণ দেখিয়ে লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে বিটিআরসি।টেলিযোগাযোগ আইনের ৪৬ ধারা ভঙ্গের অভিযোগও করা হয়েছে।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে কমিশন। এর আগে স্পেকট্রাম বরাদ্দ স্থগিত করা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা ফিরে পেয়েছিল অপারেটরটি। তবে আর কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
সম্প্রতি বিটিআরসি এ বিষয়ে সিটিসেলকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠালে সিটিসেল উল্টো দাবি করেছে, তারা বরং বিটিআরসিকে হিসাবের অতিরিক্ত টাকা দিয়েছে।ফলে তারা আর বিটিআরসিকে নতুন করে কোনো অর্থ দেবে না।এর আগে ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর কমিশন অপারেটরটির স্পেকট্রাম বরাদ্দ স্থগিত করলে সিটিসেল উচ্চ আদালতে যায়। আপিল বিভাগ স্পেকট্রাম খুলে দেয়ার আদেশ দেন। ৬ নভেম্বর স্পেকট্রাম ফিরিয়ে দেয়া হয়। তবে তাদের এখন আর কোনও গ্রাহক নেই।
গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সিটিসেলের কাছে মোট পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা বকেয়া ছিল বলে দাবি বিটিআরসি। তবে এর মধ্যে অপারেটরটি পরিশোধ করেছে ২৫৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ২২২ কোটি পরিশোধ করলেই অপারেটরটির দায় মুক্ত হওয়ার কথা।
২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে সিটিসেলের এ পাওনা কিস্তিতে পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু যথা সময়ে তা পরিশোধ করেনি অপারেটরটি।
এদিকে, পাওনা আদায়ে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয় নিলামে তুলছে ন্যাশনাল ব্যাংক। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ভবনটির ৬ষ্ঠ হতে ১৩তলা পর্যন্ত নিলামে তোলা হবে বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেয় ব্যাংকটি।
পরবর্তী খবর আসছে নোকিয়া ৮