বিয়ের সাজগোজ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৪ই আগস্ট ২০১৭, সোমবার
| বিকাল ০৫:০২
লাইফ
ই-বার্তা।। ম্যারেজ ইজ গেটিং টু হ্যাভ এ স্লিপ ওভার উইথ ইয়োর বেস্ট ফ্রেন্ড এভরি সিংগেল নাইট অফ দ্যা উইক। জন্ম, মুত্যু আর বিয়ে এ তিন বিধাতার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রবাদটি যেমন রয়েছে তেমনি এর যর্থথতাও অনেক। তবে এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই যে, জীবনের অন্যতম বড় একটি অংশ জুড়ে বিযের প্রভাব থাকে অনেক বেশি।
বিয়ের আগের এক ধরনের জীবন আর বিয়ের পরের জিবন একটু ভিন্ন। কারণ তখন এক সাথে ঘর বাধার, সুখ, দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়া ভালোবাসা,রাগ অভিমান যত কিছু মিলিয়ে এক শেষ দিগন্তের নীল হাসি রেখার এক মমতা মীয়র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অঙ্গিকার থাকে।জীবনের সমস্তটুকু ভাগা ভাগি করে নেয়া এই অধাঙ্গির সাথে। ভিন্ন ভাবে বললে, সঙ্গির ভালোবাসা দিয়ে নিজের শিক্ত করার নাম বিয়ে।
স্বপ্ন যেই রাজকণ্যা বা রাজপুত্রকে নিয়েই দেখা যায়, তাকেই জীবনের একটি গহীন অংশ ভাবা হয়।অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ কিংবা লাভ ম্যারেজ দুই ক্ষেত্রেই থাকে ভালোবাসা। প্রথম পরিচয় দু’জনে দু’জনের জানা। সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি, ভালোবাসা আর তারপর কাছে পাবার গল্প। সব কিছুই চলে নিজস্ব গতিতে। ভালোবাসার এক অদ্ভূত মায়াজাল কেন জানি দু’জনই হারিয়ে যায় অজানা সুখের সন্ধানে।
প্রেমেরে বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক রোমান্টিকতার পর জানা শোনার পর যখন সময় হয় বিয়ের তখন পাবার চাহিদা, যেন আরো বেশীই উদগ্রিব করে দুটি মানুষকে। জীবনে একবারই আসে বিয়ের সময়। আর এই সময়কে ভাবাসার মানুষ দুটি কেন জানি সময়টাকে করে রাখতে চায় স্মরনিয়। রাখে মনের মৌণি কোঠায় স্মৃতির পাতায় আর তাইতো অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে রাখতে চাননা আয়োজনের কমতি।
বর্তমানে অলংকার হিসেবে গলার চেইন বা আংটি পরার নীতির মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পূণ্যতা পায়। প্রিয় মানুষটিকে পছন্দের আংটি পরিয়ে শুরুতেই অনেকটা পাকাপোক্ত করে নেয় কথা বার্তা। ভালোবাসা আর বিয়ের আমেজ আগ্রহ, অনুভুতিটা একটু বেশিই থাকে। পাকা পোক্ত হয় তাই এংগেজ মেন্টএ।
বাঙ্গালী বিয়ের সংস্কৃতিতে অনেক দিন ধরেই গায়ে হলুদের কীর্তি চলে আসছে। সময়ের সাথে সাথে শুধু লেগেছে পরিবর্তনের ছোয়া। গায়ে হলুদ মানেই বর আর কনের বাসায় রাতে এক অনুষ্ঠান আর রঙ্গের ছড়া ছড়ি। লাল,নীল শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরিয়ে বর, কণেকে একটি সু-সজ্জিত আসনে বসিয়ে মুখে হলুদ মাখানো হয়। হলুদের সন্ধ্যায় উপস্থিতরা অনেকেই তখন রঙ্গ মেখে সং সাজতে পছন্দ করেন। আবার একে অন্যকেও হলুদ লাগিয়ে আনন্দ করেন।
অতিথীরা সবাই পারে গায়ে হলুদের জামা। ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা শাড়ি। ব্যতিক্রম হলে যেন অনুষ্ঠানেই হবে না। এটি যেন রিতিতে পরিণত হয়েছে। শোবার ঘরে বিচানার উপরে সাজানো থাকে গাঁধা আর গোলাপের পাঁপিড়িতে।হলুদের অনুষ্ঠানে বর কণের সামনে হরেক রকমের ফল দিয়ে আপ্পায়নের ব্যবস্থা থাকে।অন্যদিকে একই অনুষ্ঠান চলতে থাকে কণের বাসায়ও।দুই পরিবারেই চলে খুশির আমেজ।
কিছু কিছু অনুষ্ঠানে থাকে ভিন্ন ধরনের আয়োজন। ভিন্ন সব পরিকল্পনা। পরিবারের ঐতিয্যবাহি অনুষ্ঠান খাবার পোশাক সহ নানা আয়োজন। বিয়ের অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে এই হলুদ সন্ধ্যা।
আর বর কণে চাই এসবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ। এভাবেই হলুদ সন্ধ্যার মাধ্যমে শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা।
আনুষ্ঠানিকতা:
বিয়ের অনুষ্ঠানকে মনে রাখার মত বিষয় হচ্ছে রিসিপশন প্রোগ্রাম। বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা মনে রাখার মত কিছু ঘটনা দিয়ে সাজানো হয় এই প্রোগ্রামটি। সময়ের সাথে সাথে দুপুরের চেয়ে রাতেই এই প্রোগ্রামকে বেঁধে নিয়েছে।
বিয়ের কার্ডের দাওয়াতে সবাই এসে হাজির হয় রিসেপশন প্রোগ্রামে। অতিথিরা তাদের সর্বোচ্চ সাজ টুকু নিয়ে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানে। আর বর কণের কথাতো
কিচুই বারণ এটি জীবনের অতি মূল্যবান এবং আবেগময়ী একটি সময়।
বরের সাজ:
বিয়ের দিনটি সকলের জন্যই স্বরণীয়।বিয়ের এই মুহুর্তটি কোন পুরুষই ভুলতে পারেন না।তাই নিজেকে মানুষের কাছে ছেলে হিসেবে দায়িত্ববান প্রমাণের চেষ্টা থাকে।ভালো চকলেট কিংবা স্মাট ফোন হাতে রেখে শৌকিনতা প্রকাশ করেন অনেকেই।রঙ্গিন শেরওয়ানি কিংবা পাঞ্জাবি, চমকপ্রদ শাহি টুটি সাদা সেলোয়ার আর হাতের কাজ করা আরির তোয়ালে জড়িয়ে দৃষ্টি নন্দন এক সাজে উপস্থিতদের তাক লাগিয়ে দেন।নিজেকে রাজ দরবারের একমাত্র সাহাজাদা সাজে সজ্জিত করেই থেমে থাকেন না, কথা বলার ধরণ এবং হাটা চলাতেও খানিক পরিবর্তন দেখা যায় বিয়ের দিনে।এদিকে বর্তমানে বরের পোশাকে দেখা যায় কোর্ট, স্যুট,কমপ্লিট, টাই।নিজেকে মেলে ধরার এক বিশাল চাহুনি নিয়ে বরের মধ্যে থাকে এক আকর্ষণীয় ভংগিমা।চকলেট,লাল,মেরুন,কালো কিংবা সাদা রং এর চাহিদাগুলো জেনে একটু বেশীই টানে।সাথে টাইয়ের কালার আর শার্টের কালারটাও হওয়া চায় পারফেক্ট।
কণের সাজ:
বরের থেকে কনেকে যেন বিয়ের সাজের ক্ষেত্রে একটু বেশীই খেয়াল রাখতে হয়। কেনন রাজকণ্যাত আর সব সময় হওয়ার সুযোগ আসবে না।বিয়ের এই মুহুর্তটি তাই অনেক বেশী স্পেশাল। কণেল মাথা থেকে পাঁ পর্যন্ত বিভিন্ন সাজে সু-সজ্জিত রাখা যেন রিতিতে পরিণত হয়েছে। বেনারশি শাড়ি ত বাধ্যতা মূলক তবে চুড়ি, নূপুর সহ নানা সজ থাকবেই।
তবে বিয়ের দিনে সবাই লাল রঙ্গকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বর্তমানে শাড়িতে নানা রঙ্গের নান ঢংয়ের নকশা, হাতে করা ডিজাইন থাকেই। যা সাজ সজ্জাকে আরোবেশি আকষণিয় করে তোলে। তবে বর্তনানে পার্লারে গিয়ে মুখে এবং গায়ের রঙ্গের উপর আলাদা সাজ তৈরি করেন।চুল স্টেট করা সমান করা নখের সাজ আঙ্গুলের সাজ সহ নানা আয়োজন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে হাতে মেহেদি দেয়া অনেক আগে থেকেই একটি ঐতিয্যতে পরিণত হয়েছে।এটি বরকণে উভয়েই দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে এশিয়ার দেশ গুলোতে এর প্রচলন রয়েছে বাধ্যতা মূলক ভাবে।
আগের খবর জন্মাষ্টমির বিশেষ ভোগ
পরবর্তী খবর কোরবানি ঈদ স্পেশাল রেসিপি