ঈদ হোক এবার বাহারি শাড়ীতে
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ২৮শে আগস্ট ২০১৭, সোমবার
| বিকাল ০৫:৫৩
লাইফ
ই-বার্তা।। বসন্তের কোন এক সন্ধ্যায় তুমি এসেছিলে আমারো হৃদয় ও পিঞ্জিরে। আকাশ ভরা নীল রঙের শাড়ি, চুলের খোপায় গোলাপ ফুল, আর হাতে লাল রেশমি চুড়ি।দেবদাস হতে চেয়েছিলাম আমি, কিন্ত তোমার রুপের মায়ায় আর হয়ে উঠা হয়নি।
নারিত্তের এক অহংকার শাড়ি। বাঙলি নারীর সংস্কৃতিতে শাড়ি এক অপার সৌন্দজের নাম। নারী তার সৌন্দজের প্রকাশ, বাংগালিয়ানার প্রকাশ সব কিছুই করতে পারে শাড়ির মাধ্যমে। আর তাইতো নারী তুমি শাড়িকে করেছো হৃদয়েরো ভুখন্ড। আধুনিকতার ছোয়ায় শাড়ির ব্যবহার এখন কম বললেই চলে।বিশেষ করে এই প্রজন্মের তরুণীদের কাছে।তবে শাড়ির মুহুর্ত আসলে তা যেন একটু অন্যরকমই হয়ে যায়।
নিজেকে সাজানোর বড় মাধ্যম হয়ে উঠে শাড়ি।নারীদের কাছে শাড়ি মানেই ভালোলাগার বিষয়।বিয়ের আগের সময়ের থেকে বিয়ের পরের সময়ইই যেন শাড়ি বেশি গুরুত্ব বহন করে।বাংগালি সংস্কৃতির বিশেষ দিনগুলিতে শাড়ির ব্যবহার জর্থাথই হয়ে উঠে নারীদের কাছে।বিজয় দিবস,সাধীনতা দিবস,পহেলা বৈশাখ,ভালোবাসা দিবস ইত্যাদি উৎসবে শাড়ি দিয়ে নিজেকে রাঙাতে ভুলেন না শাড়ি প্রেমীরা।এ যেন এক মাধুর্যতার সুর্যস্নান।যা কিনা জয় করে নিতে পারে সব কিছুই।উৎসবের সাথে তাল মিলিয়ে রং এর দিকে খেয়াল রেখে একদমই বাংয়ালিয়ানা হয়ে শাড়ি পরে রাস্তায় বের হয় বাংয়ালি তরুণীরা।মনে হয় আজ বাংগালি নারীদের বিজয়মেলা। শুধু তাই নয় প্রিয়জনের সাথে মধুর কিছু সময় কাটাতেও শাড়ির কদর অনেক বেশি।শাড়ি দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে প্রিয়জনের সাথে কিছুটা সময় কাটানো, এ যেন এক অসীম অনুভুতি।এদিকে চাকুরিজীবি নারীদের শাড়িই অনবদ্য ফ্যাশন।শুধু তাই নয় মেডিক্যাল কলেজ এবং ইউনিভারসিটির তরুণীদের কাছে প্রেজেন্টেশন এর আরেক প্রাণ যেন এই শাড়ি।সব কিছু ছাপিয়ে শাড়ি যেন হয়ে উঠেছে এক অপার ফ্যাশন।
বিয়ের সময় শাড়িই যেন সব কিছু।কনের জন্য বেনারশি শাড়ি কনেকে করে তুলে একদম রাজকন্যা। সাথে সাথে বিয়ে বা কোন প্রোগ্রামে যাবার জন্য নারীদের পোশাকের প্রথম তালিকায় থাকে শাড়ি।প্রোগ্রাম গুলো যেন শাড়ি ছাড়া জমেই না,আর বিয়ে হলেতো আর কোন কথাই নেই। নারীর রুপ, সৌন্দর্জ প্রকাশের যেন এক সপ্নময় হাতিয়ার শাড়ি।নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সুন্দর পোশাকে সুন্দর লাগানোই এক বিরাট চ্যালেঞ্জ ফ্যাশনপ্রিয় নারীদের কাছে।পছন্দের শাড়ির সাথে রুপের সবটুকু ঢেলে একজন নারী হয়ে উঠতে চান ফার্স্ট লেডি হিসেবে,হোক না তা নিজের কাছেই। বাজারে বিভিন্ন শাড়ির মধ্যে জামদানি,সিল্ক,বেনারশি,সুতি এসব শাড়ির পেছনে যেন বেশীই ভালোলাগা নারীদের।বিশেষ করে বিয়ের কনের জন্য লাল বেনারসি শাড়ি চাইই।
এদিকে শাড়িপ্রিয়রা সুতি,বেনারশি,বা জামদানির কথাই যেন বেশী ভাবছেন।হালকা কাজ,সুন্দর ডিজাইন,পরে আরাম পাওয়া যায়, আর সৌন্দর্জের সবটুকুই যেন প্রকাশ পায় শাড়িতে এমনটিই খুজছেন তারা।আর মিলে গেলেতো কোন কথাই নেই।রংটাও যেন হওয়া চাই মনের মত।সাদা কিংবা হালকা নীল বা হলুদ। এসব রঙ যেন নিজেকে একজন নারী হিসেবে সেই উচ্চতায় নিয়ে যায় এনিয়েও কম ভাবেন না শাড়ি প্রিয়রা!
এসব শাড়ি খুব সহজেই মিলবে ঢাকা শহরের মার্কেটগুলোতে।নিউ মার্কেট, আজিজ মার্কেট, চাদনি চকে প্রায় দুই হাজার থেকে পাচ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে সিল্ক,সুতি,জামদানি শাড়ি।আবার বেনারসির দাম প্রায় চার হাজার থেকে শুরু হয়েছে।বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্কও খুব সহজেই মিলবে এসব শাড়ির বাহারী সমাহার।বাজেট অনুযায়ী মিলিয়ে নিতে পারবেন আপনারটাও। শেষ প্রহরের সুর্জাস্তের সময় সুর্জের আভা জেমনি রাঙিয়ে নদির তীরকে তেমনি একজন নারীকে রুপমন্ডিত করে এই শাড়ি।