পেঁয়াজের ১০ গুণ
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৩রা সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার
| দুপুর ০১:০০
লাইফ
ই-বার্তা।। শুধু তরকারি রান্না করতেই ব্যবহার করা হয় এমন একটি বস্তু হোলো পেঁয়াজ। কিন্তু আপনি জানেন কি এই বস্তুটিতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা শরীরের সংস্পর্শে এলে রোগের জ্বালা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পেঁয়াজ খেতে হবে না। বরং হাতের তালুতে ঘষতে হবে। শুনে হাসি পাচ্ছে? হাসি আসার মতোই কথা। কিন্তু একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজ এ উপস্থিত কিউয়ারসেটিন নামক একটি উপাদান হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে বেশ কিছু রোগ নিমেষে সেরে যায়। যেমন,
১. পুড়ে গেলে।
রান্না করতে করতে হাত পুড়িয়ে ফেললে একটু পেঁয়াজ কেটে ক্ষতস্থানে কিছুক্ষণ ঘষে ফেলুন। দেখবেন জ্বালা-যন্ত্রণা কমে গেছে। আসলে পিঁয়াজে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদানে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ রয়েছে, যা এই সব ক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পোড়া দাগ মেটাতেও পেঁয়াজের কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে টানা কয়েক সপ্তাহ ক্ষতস্থানে পেঁয়াজ ঘষলেই দেখবেন দাগ উধাও।
২. চুলকানি হলে।
মশা, পিঁপড়া বা মৌমাছি যাই কামড়াক, একটু পিঁয়াজ ঘষে দেবেন চুলকানির জায়গায়। তাহলেই দেখবেন কষ্ট কমে গেছে।
৩. কানের যন্ত্রণা।
ঘড়ি ধরে ১৫ মিনিট কয়েক টুকরো পেঁয়াজ পুড়িয়ে নিন। তারপর সেই ভাজা পেঁয়াজ থেকে ধীরে ধীরে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস এক ড্রপ করে কয়েকদিন কানে দিনে। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন ব্যথা চলে গেছে।
৪. সর্দিকাশি হলে।
বর্ষাকালে সর্দিকাশি তো লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া। এমন অবস্থায় মুঠো মুঠো অ্যালোপ্যাথি ঔষধ না খেয়ে মাঝারি মাপের একটা পেঁয়াজ কেটে নিন। তারপর সেই পেঁয়াজের গন্ধ নিতে শুরু করুন। কয়েক মিনিটেই নাক খুলে যাবে।
৫. ঠান্ডার লাগলে।
দৈনিক তাপমাত্রার উঠা-নামায় জ্বর হওয়া অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষত বাচ্চাদের এবং বয়স্কদের। একটা মাঝারি মাপের পিঁয়াজ দু-টুকরো করে মাথার কাছে রেখে দিন। কয়েক দিনেই একেবারে চাঙ্গা হয়ে যাবেন।
৬. জ্বর হলে।
একটা পিঁয়াজ দু-টুকরো করে দুটো মোজার মধ্যে নিয়ে নিন। তারপর মোজা দুটি পায়ে পরে ঘুমিয়ে পরুন। সকালে উঠে দেখবেন জ্বর পালিয়েছে।
৭. গলা ব্যথা হলে।
অল্প করে পেঁয়াজ নিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করে ফেলুন। এমনটা কয়েকবার করলেই দেখবেন গলার ব্যথা কমে গেছে। পেঁয়াজে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের ভিতরে তৈরি হওয়া যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮. নখের উপরের চামড়া তুলতে।
অনেকেরই নখের ঠিক উপরে আঙুলের অংশে উল্টো দিকে চামড়া ওঠে। এমনটা হলে খুব কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে কম করে এক ঘন্টা যেখানে চামড়া উঠছে সেখানে পেঁয়াজ চেপে রাখুন। সময় হয়ে গেলে দেখবেন পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে চামড়াও উঠে এসেছে।
৯. ত্বকের সৈন্দর্য্য বাড়াতে।
পরিমাণ মতো পেঁয়াজের রসে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে সেই মিশ্রনটা নিয়মিত মুখে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই সব দাগ মুছে যাবে। সেই সঙ্গে জেল্লাও বাড়বে।
১০. পিরিয়ডের কষ্ট কমায়।
মাসের এই বিশেষ সময়ে যত পারবেন কাঁচা পিঁয়াজ খাবেন। দেখবেন আর কোনও কষ্ট হবে না। পেঁয়াজ হল প্রকৃতিক পেইনকিলার, যা অল্প সময়ে ব্যথা কমাতে দারুন কাজে আসে।
আগের খবর ঈদ স্পেশাল- মাংসের কালিয়া
পরবর্তী খবর গরুর কোরমা