মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অবাক করা দশ তথ্য
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ৪ঠা অক্টোবর ২০১৭, বুধবার
| সন্ধ্যা ০৬:২৪
বিদেশ
ই-বার্তা।। মাত্র দুইদিন আগেই ছিলো সাধারণ বেশে অসাধারণ মহাত্মা গান্ধীর ১৪৮ তম জন্মদিন। জীবদ্দশায় তিনি দেশের জন্য, বিশ্বের জন্য যা করতে চেয়েছিলেন তার অনেক কিছুই ইতিহাসের সাহায্যে আমাদের জানা আছে। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে এমন কিছু অজানা তথ্যও রয়েছে যা সচরাচর আলোচনায় আসেনা। বাপুকে নিয়ে এমনই কিছু অজানা তথ্য ই-বার্তার দর্শকের জন্য আজ তুলে ধরা হোলো।
১. জীবদ্দশায় পৃথিবীর ৪টি মহাদেশের ১২টি দেশের গণ-আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
২. মহাত্মা গান্ধী প্রতিদিন ১৮ কিলোমিটার পথ হাঁটতেন। সেই হিসাবে পৃথিবী পরিক্রমায় বের হলে তিনি দুইবার পৃথিবী ভ্রমণ করে ফেলতে পারতেন।
৩. মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার দেওয়ার রীতি না থাকায় মৃত্যুর পর মহাত্মা গান্ধী পরপর পাঁচবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েও এই সম্মাননা পাননি। সে সময় নোবেল কমিটি বারবার দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
৪. মহাত্মা গান্ধীর ইংরেজি বলায় আইরিশ উচ্চারণ ছিল। কারণ তাঁর প্রথম শিক্ষক ছিলেন একজন আইরিশ।
৫. ইংরেজদের সাথে লড়াই করে দেশকে স্বাধীনতা এনে দেন গান্ধী, সেই ইংরেজরাই (ব্রিটেন)১৯৬৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর শত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর নামে ডাকটিকিট চালু করে।
৬. একজোড়া বাঁধানো দাঁত ছিল গান্ধীর। প্রয়োজনের সময় ছাড়া সেটিকে কাপড়ে মুড়ে নিজের কাছে রাখতেন তিনি।
৭. মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী যুবক বয়সে সেনাদলে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু সেসময় যুদ্ধের বীভৎসতা দেখে তিনি সেই পদ থেকে সরে আসেন এবং অহিংসার প্রতি আরো বেশি করে আকৃষ্ট হন।
৮. লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অ্যাটর্নি হন মহাত্মা। প্রথমবার আদালতে বক্তব্য রাখতে উঠে ঘাবড়ে যান তিনি এবং কোনো কথা বলতে না পেরে চুপচাপ বসে পড়েরেন।জীবনের প্রথম মামলায় হেরে যান বাপু।
৯. মহাত্মা গান্ধীর ভক্ত ছিলেন অ্যাপলের স্রষ্টা স্টিভ জবস। বাপুকে অনুসরণ করেই স্টিভ জবসও গোলাকার ফ্রেমের চশমা পরতেন এবং একসময় সেটাই হয়ে যায় জবসের স্টাইল স্টেটমেন্ট।
১০. মহাত্মা গান্ধীর নামে দেশের বাইরে মোট ৪৮টি রাস্তা রয়েছে।