পৃথিবীর সব থেকে মারাত্বক প্রাণী- মশা
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১১ই অক্টোবর ২০১৭, বুধবার
| বিকাল ০৫:২৭
আন্তর্জাতিক
ই-বার্তা।। মশার কামড়ের যন্ত্রনায় পড়েন নাই এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। মশা সম্পর্কে জানা-অজানা বেশ কিছু মজার তথ্য রয়েছে যা অনেকে জানেন, আবার অনেকের কাছেই হয়তবা অজানা। সেরকমই কিছু তথ্য জেনে নিন,
১। পৃথিবীর সব থেকে মারাত্মক প্রাণী মশা। প্রতিবছর মশার কারণে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
২। প্রায় ৩,৫০০ প্রজাতির মশার মধ্য বেশিরভাগ প্রজাতিই বেঁচে থাকে ফুলের মধু খেয়ে। অল্প কিছু প্রজাতিই কেবল মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীকে কামড়ায়। একবার ভেবে দেখুন তো, যদি সব মশা মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর রক্তের উপর নির্ভর করতো, তাহলে আমাদের অবস্থা কি হতো?
৩। একটি মশা সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে। মশা কানের কাছে আসলে আমরা যে শব্দ শুনি তা মূলত মশার ডানা ঝাপটানোর শব্দ। আর অতি অল্প সময়ে এতবার ডানা ঝাপটানোটাই আমরা গুনগুন শব্দ হিসেবে শুনতে পাই।
৪। একটি মশা ঘণ্টায় প্রায় এক থেকে দেড় মাইল বেগে উড়ে যেতে সক্ষম। অন্যান্য কীটপতঙ্গের গতির চেয়ে এই গতি তুলনামূলক অনেক কম।
৫। মশা অতি অল্প সময়েই কামড়ানোর উপযোগী হয়ে উঠে। ডিম থেকে বের হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি পূর্ণবয়স্ক মশার মত আচরণ করতে শুরু করে।
৬। অনেক সময় খেয়াল করবেন আপনার সাথেই থাকা অনেকজনের মধ্যে কোন একজনকে মশা তুলনামূলক বেশি কামড়াচ্ছে। এর কারণ তার মধ্যে এমন কিছু আছে যা মশাদেরকে তাকে খুঁজে বের করতে সহায়তা করে। মশা গায়ের গন্ধ, নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ত্যাগ করা কার্বন-ডাই অক্সাইড থেকে কামড়ানোর জন্যে উপযোগী মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীকে শনাক্ত করে। অনেক সময় চেহারা দেখার মাধ্যমেও শনাক্ত করতে পারে। যদিও তাদের দর্শন শক্তি তেমন একটা উন্নত না। নিয়মিত গোসল না করলে, অতিরিক্ত ঘামলে, শরীরের উত্তাপ বেশি হলে মশা কাউকে সহজেই ভিক্টিম হিসেবে চিহ্নিত করে নিতে পারবে।
৭। মশা কামড়ানোর জায়গা ফুলে লাল হয়ে যাওয়ার একটি সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহ বন্ধ করার জন্যে মানুষের শরীর নিজস্বভাবে রক্ত জমাট করার প্রক্রিয়া তৈরি করে। কিন্তু রক্ত শুষে নেয়ার সময় যদি রক্ত জমাট বেধে যায় তাহলে মশার পক্ষে সে রক্ত শুষে নেয়া সম্ভব হবেনা। সেজন্যে মশা স্যালাইভা নামে এক জাতীয় প্রোটিন প্রবেশ করিয়ে দেয় মানুষের শরীরে, যা কিনা রক্তের জমে যাওয়া প্রতিরোধ করে। আর এই স্যালাইভার জন্যেই আক্রান্ত স্থান ফুলে লাল হয়ে যায়।
আগের খবর বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০ গোয়েন্দা সংস্থা
পরবর্তী খবর কত কিছুই অজানা