বিশ্বের অজানা তথ্য
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৫ই অক্টোবর ২০১৭, রবিবার
| বিকাল ০৩:২৩
আন্তর্জাতিক
ই-বার্তা ডেস্ক।। “অজানা তথ্য” কথাটি শুনলেই আমাদের মনে উঁকি দিয়ে কৌতুহল। চোখে ভেসে উঠে নানান রহস্যে ঘেরা কথা। আসলেই তো, যে গ্রহে আমরা বসবাস করি সে গ্রহ সম্পর্কে আমরা কত কিছুই জানি না। তবে এটাও সত্যি যে, আমরা এসব অজানা তথ্য জানতে খুবই আগ্রহী। চলুন জেনে নেয়া যাক এই বিশ্বের কিছু অজানা তথ্য যা আপনাকে অবাক করতে বাধ্য।
১। পৃথিবীর কেন্দ্র এতই গরম যে এর তাপমাত্রা প্রায় সূর্যের তাপমাত্রার সমান।
২। প্রথম দিকে পৃথিবী বড়-বড় মাশরুম এ ঢাকা ছিল। তখন পৃথিবী তে গাছ ছিলনা।
৩। এক চা চামচ মাটিতে যে পরিমাণ অণুজীব রয়েছে, তার পরিমাণ পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যা থেকে বেশি।
৪। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে প্রায় ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড লাগে।
৫। পৃথিবীর মাঝ বরাবর যদি গর্ত করে আপনাকে এক প্রান্ত থেকে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে আরেক প্রান্তে যেতে আপনার মাত্র ৪২ মিনিট লাগবে।
৬। পৃথিবীতে মাত্র ৩% পানি পান করার যোগ্য। আর বাকী ৯৭% পানিই লবণাক্ত। আর ওই ৩% পানির মধ্যেও ২% ই বরফ। আর মাত্র ১% পানি সাধারণ ভাবে আমরা খাওয়ার জন্য পাই।
৭। পৃথিবীর নিজের অক্ষের উপর ঘুরার গতি ক্রমশই কমে আসছে। আর এটি পৃথিবী তে দিনের দৈর্ঘ্য এর উপর প্রভাব ফেলছে। এর ফলে, প্রতি ১০০ বছরে প্রায় ১৭ মিলি সেকেন্ড করে সময় বাড়ছে। এর মানে আরো ১৪০ মিলিয়ন বছর পর, পৃথিবী তে ২৫ ঘন্টায় এক দিন হবে।
৮। আর প্রায় ৫০০ কোটি বছর পর সূর্য একটি রেড জায়ান্ট স্টারে পরিণত হবে। কারণ তখন সূর্যের জালানি গুলো (হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম) শেষ হয়ে যাবে। তখন সূর্য তার চার পাশের অন্য গ্রহ গুলিকে গ্রাস করতে থাকবে। সেই হিসেবে পৃথিবীকেও সূর্য গ্রাস করবে।
৯। পৃথিবীতে উৎপাদিত অক্সিজেনের ২০ ভাগই মহাবন আমাজন উৎপাদন করে।
১০। পৃথিবীতে যত বালু কণা আছে, তার ১০,০০০ গুণ নক্ষত্র রয়েছে এই মহাবিশ্বে।
১১। চিলির আটাকামা মরুভূমি তে কখনোই বৃষ্টিপাত হয় নি। এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে শুকনো জায়গা।
১২। পৃথিবীতে যত ধরণের শক্তি দরকার (বিদ্যুৎ, শব্দ ইত্যাদি) তা শুধু সূর্যের আলোর ১০,০০০ ভাগের ১ ভাগ কে কাজে লাগাতে পারলেই সারাজীবন এর জন্য আর কিছুরই প্রয়োজন পড়বে না।
১৩। চাঁদ যদি আমাদের উপগ্রহ হিসেবে না থাকতো, তাহলে পৃথিবীতে ২৪ ঘন্টার বদলে মাত্র ৬ ঘন্টায় এক দিন হতো।
১৪। রঙধনু আসলে বৃত্তাকার, পৃথিবীর আকারের কারণেই আমরা অর্ধ-বৃত্তাকার রঙধনু দেখি।
১৫। পৃথিবীর কেন্দ্রে এতই স্বর্ণ রয়েছে যে তা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে একবার দেড়ফুট আস্তরণে মুড়ে দেয়া যাবে।
১৬। পৃথিবীতে সব সাগর, মহাসাগর মিলিয়ে যত পানি রয়েছে, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি পানি রয়েছে পৃথিবীর ভিতরের অংশে।
১৭। রাশিয়ানরা পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে গভীরতম গর্তটি করেছে। যার গভীরতা প্রায় ১২,২৬২ মি. বা ৪০,২৩০ ফুট। এটি করতে ১৪ বছর সময় লেগেছে। এটি মাউন্ট এভারেস্ট এর উচ্চতার চেয়েও বেশি গভীর। তবে এটি বর্তমানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
১৮। মাত্র গত ৪০ বছরে পৃথিবীর প্রায় ৪০% বন্য প্রাণী ধ্বংস হয়ে গেছে। যার জন্য আমরা মানুষরাই দায়ী।
১৯। এই সৌরজগৎ এ পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে পানি মোট তিনটি (কঠিন, তরল, বায়বীয়) অবস্থাতেই থাকতে পারে।
২০। পৃথিবীতে প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৮.৬ মিলিয়ন বার বিদ্যুৎ চমকায়। এর মানে প্রতি সেকেন্ড এ প্রায় ১০০ বারেরও বেশি বিদ্যুৎ চমকায়।
২১। পৃথিবীর প্রায় ৯০% ভূমিকম্পই হয় প্রশান্ত মহাসাগর এর একটি এলাকায়। যার কারণে, এই এলাকাটির নাম দেয়া হয়েছে Ring of Fire। Ring of Fire অঞ্চল টিতে প্রায় ৪৫২ টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৮১% আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতও হয় এই অঞ্চলে।
২২। প্রতিদিন পৃথিবীর কোথাও না কোথাও ১০ টিরও বেশি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে।
২৩। পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষিণের আগ্নেয়গিরিটি অবস্থিত এন্টার্কটিকা মহাদেশে। এই আগ্নেয়গিরি থেকে আগুন বের হয় না, বরং বরফের ক্রিস্টাল বের হয়। এর নাম মাউন্ট ইরেবাস।
২৪। পৃথিবীতে প্রায় প্রতি বছর ৫,০০,০০০ এর মত ভূমিকম্প হয়। যার মধ্যে আমরা ১,০০,০০০ বুঝতে পারি। এবং মাত্র ১০০ টি ভূমিকম্প পৃথিবীর ক্ষতি করে।
পরবর্তী খবর ২০১৭ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী দেশ