বিশ্বের অনন্য এক মসজিদ সুলতান আহমেদ মসজিদ


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১২ই অক্টোবর ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | সন্ধ্যা ০৬:১৬ আন্তর্জাতিক

ই-বার্তা।। সুলতান আহমেদ মসজিদ তুরস্কের এক ক্ষ্যাতনামা মসজিদ। তুর্কি ভাষায় এর নাম সুলতান আহমেত কামি। ইস্তাম্বুলের এই ঐতিহাসিক মসজিদটি ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে উসমানীয় সম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি নির্মাণ করেন। সুলতান আহমেদের কবর আজও এই মসজিদের প্রাঙ্গনে অবস্থিত।

মসজিদে একটি মাদ্রাসা এবং একটি হাসপাতাল রয়েছে। মসজিদে একটি তথ্যশালাও রয়েছে। যা মাদ্রাসা কর্তিপক্ষ দ্বারা পরিচালিত। একে মসজিদ কর্তিপক্ষ মস্ক ইনফরমেশন সেন্টার বা, মসজিদ তথ্যশালা বলে থাকেন।

মসজিদের অভ্যন্তরে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে। যেখানে সেকল পরানো রয়েছে। এই সেকল পরানোর কারণ হল, এই দরজা দিয়ে সুলতান ভিন্ন আর কেউ প্রবেশ করতে পারত না। মসজিদটির অন্যতম প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য হল এই মসজিদের ইমাম খানা। ইমাম সাহেব যখন নামাজ পরান তখন মসজিদের সকল স্থান থেকে তাকে দেখতে পাওয়া যায়।

এই মসজিদের টাইলস গুলো এখন এতটাই প্রাচীন টাইলস যে তা আর কোথাও পাওয়া যায়না। বলা হয়ে থাকে এই মসজিদের টাইলস গুলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামি টাইলস গুলোর মধ্যে অনন্য। রাতের বেলা এই মসজিদের আলো নীল রঙের দেখায়। মসজিদটি তে মোট ছয়টি মিনার রয়েছে। ৮ টি ছোট এবং ৫ টি বড় গুম্ভ রয়েছে মসজিদটি তে।

মসজিদটিতে প্রচুর পরিমানে নীল রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদের ছাদে প্রায় ২০০ জানালা রয়েছে। যার ফলে মসজিদটিতে আলোর প্রচুর প্রাচুর্য দেখা যায়। মসজিদের নকশা সৈয়দ কাসেম নামে এক স্থপতি করেন। ছোট গুম্ভ গুলোতে ১৪ টি করে জানাল এবং বড় গুম্ভ গুলোতে ২৮ টি করে জানালা রয়েছে।

ইস্তাম্বুলে ৬ মিনার বিশিষ্ট বিশাল মসজিদ আছে মাত্র তিনটি। আর আর সুলতান আহমেদ মসজিদ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই মসজিদ বর্তমানে ইস্তাম্বুলের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থানও বটে।

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তর্জাতিক এর আরও সংবাদ