শ্রদ্ধা প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি
ই-বার্তা
প্রকাশিত: ১৬ই অক্টোবর ২০১৭, সোমবার
| সন্ধ্যা ০৬:৩৮
দেশ
ই-বার্তা।। আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে-
এদেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়?
না। এদেশ ভোলেনি সেই দু:স্বপ্নের রাত। আরো পরিষ্কার করে বললে বলতে হয়, এদেশকে সেই দু:স্বপ্নের রাত ভূলতে দেয়নি এক কবি। যার লেখা আজো আমাদের রক্তে জাগিয়ে তোলে শিহরণ, উন্মাদনা। যে লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীণতা অর্জিত হয়েছে সেই স্বাধীণতাকে এককভাবে আমরা আমাদের দখলে আনতে পারিনা। কারণ এই স্বাধীণতা শুধু শুধু আমাদের হাতে ধরা দেয়নি। এই লাল-সবুজের পতাকাও সাধারণ কোন লাল রঙ বহন করেনা। এই লাল হোলো আমাদের হারিয়ে ফেলা ভাই-বন্ধু-মা-বোনের রক্তের লাল রঙ। ঠিক এই কথাগুলোকেই প্রাণ দিয়েছেন রুদ্র রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বলছি “বাতাসে লাশের গন্ধ” কবিতার কবির কথা।
৬১ বছর আগের আজকের দিনে জন্ম গ্রহন করেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। আজ তাঁর জন্মদিন। তিনি শুধুই একজন কবি নন বরং একজন গীতিকারও। “প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি” হিসাবে খ্যাত ছিলেন তিনি। আশির দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কজন কবি বাংলাদেশী শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি তাদের অন্যতম।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর আরেকটি পরিচয়, তিনি ১৯৮১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বহুল আলোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের সাথে। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন এই কবি। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ হারায় একজন নক্ষত্রকে। বড় অসময়ে চলে গিয়েও তিনি স্থান করে নিয়েছেন কোটি বাঙালীর মনে। কবির ৬১ তম জন্মদিনে তাঁর জন্য গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
আগের খবর নাটক ও বাংলাদেশের নাটকের ইতিহাস
পরবর্তী খবর বেড়ে গেছে বন্ধু, কমে গেছে বন্ধুতা